ঝিনাইগাতীর উত্তরে আমন ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা
14, October, 2015, 7:49:35:PM
শেরপুর প্রতিনিধি : ঝিনাইগাতীর উত্তরে পাহাড়ি এলাকায় শেষ পর্যন্ত সকল প্রতিন্ধকতা কাটিয়ে চলতি আমন মৌসূমে ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। উপজেলার পাহাড়ি এলাকায় ফলন ভালই হবে বলে কৃষকদের সাথে আলাপ করে ও জানা গেছে। মৌসুমের শুরুতেই পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় এবং শেষের বন্যায় ভাটি এলাকায় ব্যাপক ক্ষতি হলেও পাহাড়ি এলাকার কৃষক ও আশংকায় ছিল আমনের ফলন বিপর্যয়ের। কিন্তু পর্যাপ্ত বৃষ্টি হলেও পাহাড়ি এলাকার আমন ধানের কোন ক্ষতি হয়নি। বরং পাহাড়ে যথেষ্ট কাজে লেগেছে আমন ফসলের জন্য। সরেজমিন ঝিনাইগাতী উপজেলার পাহাড়ে কৃষকদের সাথে আলাপকালে তারা আশা প্রকাশ করেন লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও অধিক ফলনের। ঝিনাইগাতী উপজেলার শালচুড়া গ্রামের বড় কৃষক সরোয়ারদী দুদু মন্ডল, রাংটিয়া গ্রামের আ: রহমান মাষ্টার, আহাম্মদ আলী, বন্দভাট পাড়া গ্রামের রুস্তম আলী, প্রতাব নগর গ্রামের আশ্রাব আলী, খলিলুর রহমান, জড়াকুড়া গ্রামের মো: শামছুল হক, সালধা গ্রামের সেকান্দর আলী ও শাহজাহান প্রমূখ শেষ মূহুর্তে ফসলের অবস্থা দেখে ভাল ফলনের আশা প্রকাশ করেছেন। ইতিমধ্যেই আগাম আমন ধান কাটা - মারাই শুরুও হয়ে গেছে। ক্ষেতের ফসলের মাঠ দেখে কৃষকের মূখে হাসি দেখা গেলেও বাজারে ধানের দাম না পাওয়ায় সে হাসি ম্লান হয়ে যাচ্ছে। উপজেলার ধানী এলাকা সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, সব মাঠে মাঠে এখন সবুজের সমারোহ। যা দেখে যে কারো প্রাণ জুড়িয়ে যায়। অনেক মাঠে আবার সোনালী ধানের ছড়াÑযেন বাতাসে হেলে-দুলে পড়ছে। অনেক ধানেই পাক ধরেছে, আবার বেশ কিছু ধান পাকার পর তা কাটাও শুরু করেছে কৃষক। ফলনও ভালই হচ্ছে। একরে ৪০/৪৫মন। তবে বাজারে ধান বিক্রি করতে হচ্ছে ৫৬০ টাকা মন দরে। তাই মাথায় হাত পড়েছে কৃষকের। অনেকেই আক্ষেপ করে বলেছেন ‘ধানের বাজার এমন কম হলে তাদের উৎপাদন খরচতো উঠবেইনা- বরং লোকসান গুনতে হবে। এ ভাবে আমাদের কৃষকদের আর বাঁচার কোন পথই থাকছে না। আমাদের দেখার কেউ নেই। আমরা যেন ইয়াতিম। নচেৎ উচ্চ মূল্যে সার-বিষ আর শ্রমিক খাটিয়ে এ ভাবে পানির দরে ধান বিক্রি করতে হয় ? এ ভাবেই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন রাংটিয়ার কৃষক আ: রহমান মাষ্টার, শালচুড়ার দুদু মন্ডল, ফর্সা মন্ডল, বন্দভাট পাড়ার রুস্তম আলী প্রমুখ কৃষক। এ ব্যাপারে ঝিনাইগাতী উপজেলা কৃষি অফিসার কোরবান আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান- চলতি আমন মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশী আবাদ হয়েছিল তাই ভাটি এলাকার ফসলের ক্ষতি হলেও উজানের ফসলে ঘাটতি কেটে যাবে। তিনি ও বাম্পার ফলন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন। তবে বাজারে ধানের দাম নেই এ ব্যপারে জানতে চাইলে তিনি কোন মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন।