নিহত ব্লগার নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায়ের শরীরে ১৪টি কোপের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মরদেহের ময়নাতদন্তের প্রাথমিক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। এ বিষয়ে হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান হাবিবুজ্জামান চৌধুরী জানান, এমন সব হত্যাকাণ্ডের ধরন একই। নীলাদ্রীকে একাধিক লোক ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়েছে। নিহতের শরীরে ১৪টি কোপের জখম রয়েছে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে ভাড়া বাসায় ঢুকে হত্যা করা হয় নীলাদ্রিকে। এই হত্যাকাণ্ডের জন্য পুলিশ উগ্রপন্থীদের সন্দেহ করছে। গতকাল সন্ধ্যায় এক ই-মেইল বার্তায় হত্যার দায় স্বীকার করেছে আনসার আল ইসলাম নামের একটি সংগঠন। এ নিয়ে চলতি বছরের সাত মাসে চারজন লেখক ও ব্লগার খুন হলেন। এর আগে ২০১৩ সালে খুন করা হয় ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দারকে। নিজের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন ব্লগার। কর্মস্থলে ও বন্ধুদের বিষয়টি জানিয়েছিলেন তিনি। পুলিশের সাহায্য চেয়েও পাননি। ঢাকার বাইরে বদলিও হয়েছিলেন। বিদেশে চলে যাওয়ার চেষ্টাও ছিল। কিন্তু শেষমেশ নৃশংসভাবে খুন হলেন তিনি। নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায় (২৭) গণজাগরণ মঞ্চের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করে একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন। তিনি ‘নিলয় নীল’ নামে বিভিন্ন গোষ্ঠীবদ্ধ ব্লগে লিখতেন। ফেসবুকেও ছিলেন একই নামে। স্ত্রী আশামনিকে নিয়ে পূর্ব গোড়ানের একটি বাড়ির পাঁচতলায় দুই কামরার ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন তিনি। গতকাল বেলা সোয়া একটার দিকে চার ব্যক্তি এই বাসার ভেতরে ঢুকেই নীলাদ্রিকে কুপিয়ে হত্যা করে। পুলিশ বলেছে, তাঁর মাথা ও ঘাড়ে বেশ কয়েকটি ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।