স্বাধীন বাংলা রিপোর্ট: বর্তমান নির্বাচন কমিশন নিবাচন পরিচালনার ক্ষেত্রে একেবারেই ব্যর্থ এবং অযোগ্য। তার প্রমাণ হচ্ছে সিটি নির্বাচনের তারিখ তারা নির্ধারণ করে রেখেছিল সেদিন ছিল হিন্দু সম্প্রদায়ের পূজা। বড় সমস্যা হচ্ছে যেখানে নির্বাচনী কেন্দ্রগুলো হয় সেখানেই পূজা হয়। এতে করে বড় ধরণের সমস্যা হতে পারতো। কিন্তু এসব চিন্তা না করে তারা তারিখ নির্ধারণ করেছে। নির্বাচন কমিশনের অযোগ্যতার কারণেই এমন সমস্যার সৃষ্টি হয়। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৩৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সামনে এ মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ফখরুল বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান একজন ক্ষণজন্মা মানুষ ছিলেন। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা ঘোষণার মধ্য দিয়ে তিনি বাঙালি জাতিকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার অনুপ্রেরণা দিয়েছিলেন। খুব অল্প সময়ের মধ্যে তিনি বাংলাদেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বদরবারে একটি মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের। আমরা যখন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জন্মদিবস পালন করছি, তখন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে একটা মিথ্যাবাদী আওয়ামী লীগ সরকার কারাগারে আটকে রেখেছে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বিদেশি নির্বাসিত করে রেখেছে। লক্ষ লক্ষ বিএনপির নেতা কর্মীকে তারা মিথ্যা মামলা দিয়েছে, হত্যা করেছে, গ্রেফতার করেছে, গুম করেছে, খুন করেছে। দেশটাকে একটা অগণতান্ত্রিক স্বৈরাচারী রাষ্ট্র হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছে তারা।
বহুদলীয় গণতন্ত্র মানেইতো সবার সমান সুযোগ তা কি এখন এই দেশে আছে এমন প্রশ্নে ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার আসার পর থেকে দেশের সকল গণতান্ত্রিক স্তরগুলোকে সংকুচিত করে ফেলেছে। স্পেস গুলো বন্ধ করে দিয়েছে এবং রাজনৈতিক দলগুলোর স্বাভাবিক কার্যক্রম সেগুলো বন্ধ করে দিয়েছে। আজকে এই ঢাকা সিটি নির্বাচনে একটি দলের প্রার্থীরা বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে, কারণ একটি অযোগ্য নির্বাচন কমিশন কোনো ব্যবস্থা নিতে সক্ষম নয়। এবং তাদের সেই যোগ্যতা নেই।
তিনি আরও বলেন, ইভিএমে নির্বাচন করার মানে হচ্ছে বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেয়ার আরেকটা অপকৌশল। জনগণের রায় কখনো ইভিএমের মাধ্যমে জনগণের সামনে আসবে না। ইভিএম ব্যবহার হচ্ছে একটা ত্রুটিপূর্ণ ব্যবস্থা। পৃথিবীর কোন দেশেই এই ব্যবস্থাকে ত্রুটিহীন সিস্টেম বলা যায় না। ব্যালটের মাধ্যমে যদি ভোট দেয়া হয় সেটাই জনগণের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা।