স্বাধীন বাংলা রিপোর্ট : বিশ্বে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে থাকায় গত ১৪ দিনে চীন থেকে ফেরত আসা সব নাগরিকের তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
দেশের সকল জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার এবং সিভিল সার্জনদের নিজ নিজ জেলায় এ তালিকা তৈরি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান-আইইডিসিআরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এর আগে গত মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাক্তার আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে ভাইরাস কন্ট্রোল রুমে দিক নির্দেশনা মূলক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেই বৈঠকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আইইডিসিআর-এর পরিচালক ডা.মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সভা থেকে সিভিল সার্জনদের করোনা ভাইরাস সম্পর্কিত সার্বিক পরিস্থিতি অবহিত করে এর সংক্রমণ রোধে করণীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে স্বাস্থ্যকর্মীদেরকে তা অবহিত করতে অনুরোধ জানানো হয়।
এছাড়া অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশকে চীনে ভ্রমণ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেওয়া হয়। ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিকেও চীনে ব্যবসায়ীক ভ্রমণ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেওয়া হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, বুধবার পর্যন্ত বিমানবন্দরে চীন থেকে আগত স্ক্রিনিং করা যাত্রীর সংখ্যা ৩ হাজার ৩৪৮ জন। বিমানবন্দরে সন্দেহজনক রোগী মেলেনি। আইইডিসিআর এর হটলাইনে মোট কল সংখ্যা ৫৩। আইইডিসিআর-এর হটলাইনে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত মোট কল সংখ্যা ৯। তবে দেশে করোনা ভাইরাস রোগীর সংখ্যা পাওয়া যায়নি।
গত ৩১ ডিসেম্বর উহানে এই ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যাওয়ার পর চীনের সীমানা পেরিয়ে এই ভাইরাস রাজধানী বেইজিং, সাংহাই, ম্যাকাও ও হংকংয়ের বাইরে বিশ্বের ১৯টি দেশে ছড়িয়েছে।
চীনের ন্যাশনাল হেলথ কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৭০ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া পুরো চীনে এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭০০০ জনে।
এ পর্যন্ত চীন, থাইল্যান্ড, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ভিয়েতনাম, হংকং, সিঙ্গাপুর, ভারত, মালয়েশিয়া, নেপাল, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জার্মানি, কম্বোডিয়া, শ্রীলঙ্কা, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং তাইওয়ানে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া ইসরায়েলেও এক রোগীর শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।