স্টাফ রিপোর্টার : আসন্ন ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সব ধরনের প্রচার-প্রচারণা শেষ হচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ১২টায়। সিটি করপোরেশন নির্বাচন আইন অনুযায়ী, ভোটগ্রহণ শুরুর ৩২ ঘণ্টা আগে সব ধরনের প্রচারণা বন্ধ করার বিধান রয়েছে। নির্বাচনী দায়িত্বে থাকছেন ১২৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
এদিকে, আজ সকালে মাঠে নেমেছে ৬৫ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি। বৃহস্পতিবার থেকে ভোটের দিন ও ভোটের পরদিন-মোট চার দিন তারা নির্বাচনী মাঠে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করবে।
এ ছাড়া দুই সিটিতে আরও ৫ প্লাটুন করে মোট ১০ প্লাটুন বিজিবি সদস্য রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে মোতায়েন থাকবে। তাদের পাশাপাশি মাঠে থাকছেন পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা। মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে তারা টহল দেবেন।
ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় নির্বাচনী এলাকায় রাজনৈতিক উত্তাপ বিরাজ করছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে নির্বাচন কমিশনও। যেকোনো ধরনের সহিংসতা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
ইসি কর্মকর্তরা জানিয়েছেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে মোট সাধারণ ওয়ার্ড সংখ্যা ৫৪টি ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড ১৮টি। এই সিটিতে মোট ভোটার সংখ্যা ৩০ লাখ ১০ হাজার ২৭৩ জন। এখানে সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্র রয়েছে ১ হাজার ৩১৮টি, ও ভোট কক্ষের সংখ্যা ৭ হাজার ৮৪৬টি। দক্ষিণ সিটিতে মোট সাধারণ ওয়ার্ড ৭৫, সংরক্ষিত ওয়ার্ড ২৫। এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ২৪ লাখ ৫৩ হাজার ১৯৪ জন। সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্র রয়েছে এক হাজার ১৫০টি, ভোটকক্ষ ৫৫৮৮টি।
ইতোমধ্যে দুই সিটিতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। ফলে নির্বাচনী আমেজ সৃষ্টি হলেও ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন ভোটাররা। আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটলেও অনেক জায়গায় ইসির কার্যকর পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। তবে প্রার্থীরা ভোটারদের নির্ভয়ে কেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান করছেন। একইসঙ্গে নির্বাচনের পরিবেশ যাতে সুন্দর থাকে তার ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর বলেছেন, সুনির্দিষ্টভাবে কিছু অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাতে বড় ধরনের আচরণবিধি লঙ্ঘিত হয়েছে এমন নয়। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণে দুটি অতর্কিত ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া যেসব অভিযোগ পাওয়া গেছে তা সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা নিষ্পত্তি করেছেন।