আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী
আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করতে হবে
13, February, 2020, 1:00:4:PM
গাজীপুর প্রতিনিধি : বাংলাদেশকে গড়ার জন্য আরও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করতে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ যে আজ এগিয়ে যাচ্ছে সেজন্য এই বাহিনীর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, গ্রাম থেকে শহর পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে তারা যে দায়িত্ব পালন করছেন, তাদের এই দায়িত্ব পালন দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আমরা যদি সবাই একযোগে এভাবে দায়িত্ব পালন করি, সেদিন বেশি দূরে নয় যেদিন বাংলাদেশ বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর কাতারে দাঁড়াবে। বাংলাদেশের প্রতিটি ঘর হবে আলোকিত। প্রতিটি গ্রাম হবে সমৃদ্ধ। গ্রামপর্যায় পর্যন্ত আমরা শহরের সব সুযোগ সুবিধা পৌঁছে দেব।
বৃহস্পতিবার গাজীপুরের কালিয়াকৈরের সফিপুরে আনসার ও ভিডিপির ৪০তম জাতীয় সমাবেশ এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। এই স্বাধীনতার সুফল বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ পাবে। শহরে সাধারণ মানুষ যেমন নাগরিক সুবিধা পায়, গ্রামের মানুষও সেই নাগরিক সুবিধা পাবে। প্রতিটি গ্রাম হবে শহরের সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন নগর।
পাশাপাশি একটি বাড়ি, একটি খামার প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে সরকার দারিদ্র্য বিমোচনের কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারকে গার্ড অব অনার দিয়েছিল। কুষ্টিয়ার মেহেরপুরের আম্রকাননে ওই সরকার গঠন হয়েছিল। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করে এই বাহিনী গঠন করেছিলেন। এই বাহিনী জাতীয় নির্বাচন, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ নির্মূল, বিমানবন্দর ও দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রক্ষাসহ সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। জনগণের জানমাল রক্ষায় তারা জীবন পর্যন্ত উৎসর্গ করছে। বিশেষ করে বিএনপি যখন অগ্নিসন্ত্রাস চালিয়েছে তখন এই বাহিনী সারাদেশে বিএনপিকে দমন করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, আনসার বাহিনীর যে কোনো সমস্যার সমাধানে আমাদের সরকার সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। এই বাহিনীর উৎকর্ষতা সাধনে যত প্রকার সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা দরকার তা করেছে। এই বাহিনীর জাতীয় পতাকা ছিল না। তাদের জাতীয় পতাকা প্রদান, স্বাধীনতা পদক প্রদান, তাদের পদোন্নতিসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এই বাহিনীর জন্য একটি ব্যাঙ্ক করে দেয়া হয়েছে। এখান থেকে তারা যখন ইচ্ছে তখন ঋণ নিতে পারেন। ঝুঁকি ভাতাও প্রবর্তন করেছে আমাদের এই সরকার।
বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি একাডেমি সফিপুরে এ অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল উপস্থিত ছিলেন।
বেলা পৌনে ১১টায় বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি একাডেমি সফিপুরে পৌঁছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী অভিবাদন মঞ্চে উপস্থিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় সংগীতের সুর বেঁজে ওঠে। এরপর খোলা জিপে করে প্রধানমন্ত্রী প্যারেড পরিদর্শন করেন। প্যারেড পরিদর্শন শেষে আবার ফিরে যান অভিবাদন মঞ্চে। সেবামূলক ও সাহসীকতাসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ১৪৩ জনকে পদক পরিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী।