স্বাধীন বাংলা রিপোর্ট: বাংলাদেশের অভ্যন্তরে করোনাভাইরাস প্রতিরোধের লক্ষ্যে জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে এবং উপজেলা পর্যায়ে স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সভাপতিত্বে কমিঠি গঠন করা করা হয়েছে। এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে মাঠ প্রশাসনের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত সচিবের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিশেষভাবে অবহিত করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
কমিটিতে জেলা প্রশাসক সভাপতি এবং সিভিল সার্জনকে সদস্য সচিব করে ১০ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। এই কমিটির সদস্যরা হলেন- স্থানীয় জেলা পুলিশ সুপার, পরিচালক/তত্ত্বাবধায়ক (মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল/সদর হাসপাতাল), সদর উপজেলা চেয়ারম্যান, সদর পৌরসভার মেয়র, জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, জেলা তথ্য কর্মকর্তা, জেলা ত্রাণ ও পুণর্বাসন কর্মকর্তা, উপ-পরিচালক (সমাজ সেবা অধিদফতর)। স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এই কমিটির উপদেষ্টা থাকবেন।
এ সংক্রান্ত একটি চিঠি গতকাল সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে। যাতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন বিভাগের করোনাভাইরাস প্রতিরোধ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপনও যুক্ত করা হয়।
অপরদিকে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সভাপতি ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে সদস্য সচিব করে ১০ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। এতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন থানার ওসি, পৌর মেয়র, উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা। স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এই কমিটিতে উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন।
জেলা কমিটির কার্যপরিধিতে বলা হয়েছে, এই কমিটি করোনাভাইরাস প্রতিরোধ সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির নির্দেশনা বাস্তবায়ন করবেন। করোনাভাইরাস প্রতিরোধের লক্ষ্যে সচেতনতা সৃষ্টির প্রয়োজনে কোয়ারেনটাইনসহ প্রয়োজনীয় আর্থিক ও লজিস্টিক সহায়তার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
করোনাভাইরাস সংক্রান্ত যেকোন তথ্য পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ জাতীয় কমিটির পরামর্শ গ্রহণ করবে এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। উপজেলা কমিটির কার্যপরিধি প্রায় একই। তবে এই কমিটি করোনাভাইরাসা প্রতিরোধ সংক্রান্ত জেলা কমিটির সাথে সমন্বয় রেখে জাতীয় কমিটির নির্দেশনা বাস্তবায়ন করবে।