ক্রীড়া প্রতিবেদক : জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে আজ সন্ধ্যায় মাঠে নামবে বাংলাদেশ। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হবে ম্যাচটি। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হবে ম্যাচটি। আগামী বুধবার একই মাঠে, একই সময়ে দ্বিতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। ম্যাচ দুটি সরাসরি সম্প্রচার করবে গাজী টিভি।
চলতি সিরিজে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স কথা বলছে টাইগারদের পক্ষে। একমাত্র টেস্টে সফরকারীদের ইনিংস ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এরপর সিলেটে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজেও করেছে হোয়াইটওয়াশ। ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ ছাড়া বাংলাদেশের কাছে জিম্বাবুয়ে পাত্তাই পায়নি আর কোনো ম্যাচে।
এছাড়া টাইগার ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাশের ব্যাটিং পারফরম্যান্স বাংলাদেশকে এগিয়ে রাখছে। ওয়ানডে সিরিজে এই দুই ব্যাটসম্যানের উইলো থেকে আসে ৬২১ রান। এই ফর্ম টি-টোয়েন্টিতে টেনে আনলে জিম্বাবুয়ের বোলারদের কাছে থাকবে না কোনো উত্তর। এছাড়া পাকিস্তান সফরে না যাওয়া মুশফিক টি-টোয়েন্টিতে আবার ফিরছেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। ফলে বাংলাদেশের মিডল অর্ডারের শক্তি বাড়বে নিঃসন্দেহে।
তরুণ আফিফ হোসেন ও নাঈম শেখ ইতিমধ্যে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে নিজেদের প্রমাণ করেছেন। শেষদিকে ঝড় তোলার জন্য অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ আছেন নির্ভরতার প্রতীক হয়ে। পাকিস্তান সফরের টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশের বোলিং ছিলো প্রায় নির্বিষ। ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মোহাম্মদ সাইফউদ্দীনের অন্তর্ভূক্তি টাইগার বোলিং আক্রমণের শক্তি বাড়াবে নিশ্চিত। এছাড়া আমিনুল ইসলাম থাকায় বোলিংয়ে বৈচিত্র্যও থাকবে বাংলাদেশের।
এদিকে এ ম্যাচ দিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শুরু করতে চায় অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। খেলোয়াড়দের এখন থেকে দলে নিজেদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে চান অধিনায়ক। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচটি চ্যালেঞ্জিং মনে করলেও নিজেদের ভালো সুযোগ দেখছেন টাইগার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। তিনি বলেন, প্রতিটি খেলাই চ্যালেঞ্জিং। যার সাথেই খেলা হোক না কেন। যেহেতু আমরা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজে ভাল ক্রিকেট খেলেছি। কিছুটা তো এগিয়ে থাকবোই। তারপরেও আমার মনে হয় টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়ে বেশ শক্তিশালী দল। তাদের ব্যাটিং অর্ডার বেশ ভালো। আমাদেরও ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। আমরা তাদের সহজভাবে নিচ্ছি না।
এদিকে চলতি সিরিজে জিম্বাবুয়ে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের বিপক্ষে ভালো অবস্থানে নেই। তবে তাদের জন্য আশার আলো হয়ে এসেছে ওয়েসলি মাধবেরে, ডোনাল্ড টিরিপানোরা। অভিজ্ঞদের পাশাপাশি এরাও পারফরম্যান্স করেছে দারুণ। এছাড়াও জিম্বাবুইয়ান অধিনায়ক শন উইলিয়ামস বিশ্বাস করেন, টি-টোয়েন্টি দুই বলের খেলা। দুই বলে বদলে যেতে পারে মোমেন্টাম। তার দলে পারফরমার আছে যারা চাইলে খেলার মোমেন্টাম তাদের পক্ষে নিয়ে আসতে পারে। বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জিতে সফরে মধুর স্মৃতি নিয়ে ফিরতে চায় দলটি।