স্টাফ রিপোর্টার : বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্ত করার পর এবার ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালন ও ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠান সীমিত করে সংশোধিত জাতীয় কর্মসূচির অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সংশোধিত কর্মসূচি জেলা প্রশাসক (ডিসি), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) কাছে পাঠানো হয়েছে।
গত রোববার সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান-আইইডিসিআর এক সংবাদ সম্মেলনে জানায়, দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তিনজন শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে একজন নারী ও দুজন পুরুষ। এরমধ্যে দুজন ইতালি ফেরত।
সংশোধিত কর্মসূচিতে জানানো হয়েছে, ২৬ মার্চ সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী সীমিতসংখ্যক আমন্ত্রিত ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। সব রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনকে সীমিত আকারে পুস্পস্তবক অর্পণের জন্য অনুরোধ করা যেতে পারে। সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন (ওইদিন সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে)। ২৬ মার্চ সারাদেশে জেলা ও উপজেলায় সীমিত উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে হবে। তবে কুচকাওয়াজ ও সমাবেশ স্থগিত থাকবে বলে কর্মসূচিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
জেলা ও উপজেলা সদরে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনার বিষয়ে বলা হয়েছে, মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ স্থগিত করে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ফুল ও উপহার পাঠানো যেতে পারে।
২৫ মার্চ রাতে দেশে ১ মিনিট প্রতীকী ব্ল্যাক-আউট থাকবে। তবে কেপিআই, জরুরি স্থাপনা, চলমান যানবাহন এ কর্মসূটির আওতার বাইরে থাকবে। ২৬ মার্চ রাত্রে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি ভবন/স্থাপনাসমূহে আলোকসজ্জা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। স্বাধীনতা দিবসের দিন ঢাকাসহ দেশের সব জেলা ও উপজেলায় ৩১ বার তোপধ্বনি হবে।
স্বাধীনতা দিবসে চট্টগ্রাম, খুলনা, মংলা ও পায়রা বন্দর, ঢাকার সদরঘাট, নারায়ণগঞ্জের পাগলা, চাঁদপুর ও বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে নৌ বাহিনী ও কোস্টগার্ডের জাহাজ জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে স্মারক ডাক টিকিট প্রকাশসহ অন্যান্য কর্মসূচি আগের মতোই থাকবে।