স্টাফ রিপোর্টার : বিশ্বব্যাপী মহামারীতে পরিণত হওয়া নভেল করোনাভাইরাসে বাংলাদেশে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ জনে। এছাড়া বিশ্বের অন্তত ১৬৬টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী এ ভাইরাস। এতে প্রাণ হারিয়েছেন ৮ হাজার ৯৬১ জন। ৮৫ হাজার ৬৭৩ জন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বিশ্বে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দুই লাখ ১৯ হাজার ৬৭ জন।
এমন সংকটময় পরিস্থিতে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের বিস্তার লাভ করতে পারে এমন আশঙ্কা রয়েছে। ফলে আগামী ১ এপ্রিল থেকে শুরু হতে যাওয়া উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট-এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা পিছিয়ে দেয়া হতে পারে।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি গত সোমবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, আমরা এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। কাছাকাছি সময়ে গিয়ে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে তখন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও শিক্ষার্থীদের নিরাপদ দূরত্বে রাখতে এক বেঞ্চ পর পর সিট প্ল্যান করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আন্তঃশিক্ষাবোর্ড ও ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেন, পরীক্ষা পেছানোর ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে, পরীক্ষা পেছানো হবে কিনা তা আরও এক সপ্তাহ পর পরিস্থিতির ওপর বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পরীক্ষার পুরো প্রক্রিয়ার সাথে লাখ লাখ কর্মকর্তা-শিক্ষক জড়িত। এর সাথে সারাদেশে ১১ লাখের বেশি পরীক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশহগ্রহণ করা কথা। এতে করে একে অপরের সংস্পর্শে এসে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এসব কারণে পরীক্ষা স্থগিত করার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী সপ্তাহে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হতে পারে।
আগামী ১ এপ্রিল বাংলা (অবশ্যিক) প্রথম পত্র দিয়ে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। ৪ মে পর্যন্ত তত্ত্বীয় পরীক্ষা আয়োজন হওয়ার কথা রয়েছে। এরপর ৫ মে ব্যবহারিক পরীক্ষা শুরু হয়ে ১৩ মে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।