স্বাধীন বাংলা রিপোর্ট: প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রদুর্ভাব ঠেকাতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও ঘরে অবস্থান নিশ্চিত করতে আজ বৃহস্পতিবার থেকে আগামী ১০ দিন ছুটি ঘোষণার প্রথম দিন আজ রাজধানীর রাস্তাঘাট জনমানব শূন্য হয়ে পড়েছে। ঢাকার রাস্তায় চলাচল নিয়ন্ত্রণ মাঠে রয়েছে পুলিশ। প্রয়োজন ছাড়া কাউকে রাস্তায় থাকতে দেওয়া হবে না। কেউ বের হলে তাঁকে পুলিশের জেরার মুখে পড়তে হবে। তবে সংবাদপত্রসহ জরুরি সেবা আওতামুক্ত থাকবে।
বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার সড়কে দু-চারটি প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেল ছাড়া গণপরিবহন দেখা যায়নি। জরুরি সেবার যান ও মালবাহী ট্রাকও খুব একটা দেখা যায়নি।
বিভিন্ন স্পটে আইনশৃংখলাবাহিনী সড়কে অবস্থান নিয়ে আছেন। মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকার দেখলেই থামাচ্ছেন পুলিশ সদস্যরা। জানতে চাচ্ছেন কেন বের হয়েছেন, কোথায় যাচ্ছেন?
গণপরিবহনে নিষেধাজ্ঞা থাকায় বুধবার থেকেই সড়কে গণপরিবহন কম দেখা যায়। অফিসফেরত মানুষকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। আজ সকাল ৯ টায় রাজধানীর বনানী-এয়ারপোর্ট সড়কে কোন বাস যাতায়াত করতে দেখা যায়নি। দু-চারটি প্রাইভেটকার দেখা গেছে। অন্য দিনের চেয়ে মোটরসাইকেলও কম ছিল।
২৪ মার্চ সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গণপরিবহন বন্ধের নির্দেশনায় এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, ওষুধ, জরুরি সেবা, জ্বালানি, পচনশীল পণ্য পরিবহন-এ নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে। পণ্যবাহী যানবাহনে কোনো যাত্রী পরিবহন করা যাবে না। আগামী ৪ এপ্রিল পর্যন্ত এ নিদের্শনা অব্যাহত থাকবে।
পুলিশ সূত্র জানায়, পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তারা বৈঠক করেছেন। পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) জাবেদ পাটোয়ারী গতকাল ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন। আজ থেকে লোকজন যাতে রাস্তায় বের না হতে পারে, সেটা নিশ্চিত করতে বলেছেন আইজিপি।
এদিকে গতকাল থেকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে কাজ শুরু করেছে সশস্ত্র বাহিনী। রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে নাগরিকদের সঙ্গনিরোধ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তারা।