স্বাধীন বাংলা রিপোর্ট: প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে বিশে^র প্রায় সকল দেশ হিমশিম খাচ্ছে। বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে। করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিভিন্ন পদক্ষে নেয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের মসজিদে জামাতে নামাজ পড়ার ক্ষেত্রে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। নির্দেশনা মোতাবেক এখন থেকে মসজিদে জামাতে নামাজে ৫ জনের বেশি উপস্থিত থাকতে পারবে না। জুম্মার নামাজের ক্ষেত্রে ১০ জনের বেশি থাকা যাবে না।
একইভাবে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের নিজ নিজ বাসায় উপাসনা করতে নির্দেশ জারি করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেয়া হয়।
এতে বলা হয়, করোনাভাইরাস মানুষের হাঁচি কাশি নিঃশ্বাস ও সংস্পর্শের মাধ্যমে মুহূর্তের মধ্যে সংক্রমিত হয়। বিশ্বে এ পর্যন্ত এ রোগের কোন প্রতিষেধক বা চিকিৎসা আবিষ্কৃত হয়নি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মসজিদ, মন্দির, গীর্জা ও প্যাগোডাসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে জনসমাগমের মাধ্যমে এ রোগের বিস্তার ঘটেছে। ইতোমধ্যে মুসলিম স্কলারদের ভিত্তিতে পবিত্র মক্কা মুকাররমা ও মদিনা মুনাওয়ারাসহ বিশ্বের প্রায় সব দেশের মসজিদে মুসল্লিদের আগমন সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ এ রোগের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রিত না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশে মসজিদ, মন্দির, গীর্জা ও প্যাগোডাসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সর্বসাধারণের আগমন বন্ধ রাখার জোর পরামর্শ দিয়েছেন।
বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে কয়েকটি নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে: ভয়ানক করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধকল্পে মসজিদের ক্ষেত্রে খতিব, ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমগণ ব্যতীত অন্য সকল মুসুল্লিকে সরকারের পক্ষ থেকে নিজ নিজ বাসস্থানে নামাজ আদায় এবং জুমআর জামায়াতে অংশগ্রহণের পরিবর্তে ঘরে জোহরের নামাজ আদায়ের নির্দেশ দেয়া যাচ্ছে।
মসজিদে জামায়াত চালু রাখার প্রয়োজনে সম্মানিত খতিব, ইমাম, মুয়াজ্জিন, খাদেম মিলে পাঁচ ওয়াক্তের নামাযে অনধিক ৫ জন এবং জুমআর জামায়াতে অনধিক ১০ জন শরিক হতে পারবেন। জনস্বার্থে বাহিরের মুসল্লি মসজিদের ভিতরে জামায়াতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
একই সাথে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অন্যান্য ধর্মের অনুসারীদেরকেও উপাসনালয়ে সমবেত না হয়ে নিজ নিজ বাসস্থানে উপাসনা করার জন্য নির্দেশ দেয়া যাচ্ছে।
এ সময়ে সারাদেশে কোথাও ওয়াজ মাহফিল, তাফসির মাহফিল, তাবলীগি তালীম বা মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা যাবে না। সবাই ব্যক্তিগতভাবে তিলাওয়াত, যিকির ও দুআর মাধ্যমে মহান আল্লাহর রহমত ও বিপদ মুক্তির প্রার্থনা করবেন।
অন্যান্য ধর্মের অনুসারীগণও এ সময়ে কোন ধর্মীয় বা সামাজিক আচার অনুষ্ঠানের জন্য সমবেত হতে পারবেন না।