প্রণোদনার অর্থ খেলাপীরা পাবে না dailyswadhinbangla
12, April, 2020, 10:11:30:PM
স্বাধীন বাংলা রিপোর্ট: করোনাভাইরা মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ৩০ হাজার কোটি টাকার তহবিলের ব্যবহার নিয়ে নীতিমালা জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, এ সুবিধা কেবল ক্ষতিগ্রস্থ প্রতিষ্ঠান পাবে, খেলাপীরা নয়। যে সকল শিল্প ও সেবা প্রতিষ্ঠান করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শুধু সেসব প্রতিষ্ঠানই এর আওতায় সুবিধা পাবে। কোনো খেলাপি গ্রহীতা এ তহবিলের ঋণ পাবেন না।
আজ রবিবার এ সংক্রান্ত নীতিমালা সার্কুলার আকারে জারি করা হয়েছে। এ তহবিলের পুরোটাই বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজস্ব উৎস থেকে বিতরণ করতে হবে।
এতে আরো বলা হয়, এ প্যাকেজের আওতায় তফসিলি ব্যাংকের নিজস্ব ঋণ নীতিমালা অনুযায়ী ঋণ মঞ্জুরি অনুমোদিত হতে হবে। তবে প্রতিটি ঋণ বিতরণের পূর্বে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ হতে সম্মতিপত্র গ্রহণ করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের আওতায় ‘বিশেষ মনিটরিং ইউনিট’ নামে একটি ইউনিট থাকবে। এ প্যাকেজের আওতায় ঋণ/বিনিয়োগ সংক্রান্ত যে কোন প্রয়োজনে তফসিলি ব্যাংকসমূহ উক্ত ইউনিটের সাথে যোগাযোগ করবে।
যে সব প্রতিষ্ঠানের ঋণমন্দঋণে পরিণত হয়ে তিনবারের বেশি পুনতফসিল সুবিধা নিয়েছেন, তারাও এই প্যাকেজের সুবিধা পাবেন না। এই তহবিল থেকে ব্যাংকের মাধ্যমে উদ্যোক্তারা ৯ শতাংশ সুদে ঋণ নিতে পারবে। তবে তাদের ৪ দশমিক ৫ শতাংশ সুদ পরিশোধ করতে হবে, বাকি ৪ দশমিক ৫ শতাংশ সুদ সরকার ভর্তুকি হিসেবে দেবে।
২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঋণের স্থিতির মধ্যে স্ব স্ব ব্যাংকের অবদান এবং সম্ভাব্য ঋণ চাহিদার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে প্রতিটি ব্যাংক এ প্যাকেজের আওতায় ঋণের নিজস্ব চাহিদা নির্ধারণ করবে, যা এ প্যাকেজের আওতায় সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ঋণের প্রাথমিক সীমা হিসেবে বিবেচিত হবে। ওই সীমার উপর ভিত্তি করে ব্যাংক তাদের ঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করবে। ব্যাংক কর্তৃক ওই সীমা নির্ধারণের পর স্বল্পতম সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংককে জানাতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনে ওই সীমা বাড়াতে বা কমাতে পারবে। এ প্যাকেজের মেয়াদ হবে তিন বছর। তবে কোনো একক গ্রাহকের অনুকূলে প্রদত্ত ঋণের জন্য সর্বোচ্চ এক বছর মেয়াদের জন্য এ প্যাকেজের আওতায় সরকার হতে ভর্তুকি পাওয়া যাবে।