আনিসুর রহমান: দিনদিন হু হু করে বাড়ছে কেরানীগঞ্জে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। উপজেলা পর্যায়ে কেরানীগঞ্জ সর্বোচ্চ আক্রান্ত। সোমবার বিকাল পর্যন্ত মোট ৪৬ জন  আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মীর মোবারক হোসেন।

গত ৫ এপ্রিল কেরানীগঞ্জে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। দুই সপ্তাহের ব্যবধানেই উপজেলা পর্যায়ে কেরানীগঞ্জ আক্রান্তের তালিকা সর্বোচ্চ তালিকায় চলে আসে। প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে কেরানীগঞ্জে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। সংক্রমণ ঠেকাতে ইতিমধ্যে জিনজিরা, আগানগর, শুভাঢ্যা, কালিন্দী এবং শাক্তা ইউনিয়নকে সম্পূর্ণ লকডাউন করেন উপজেলা প্রশাসন। এই পাঁচটি ইউনিয়নকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সম্পূর্ণ অবরোধ এবং এসব ইউনিয়ন হতে কেউ বাহির বা ভেতরে প্রবেশ করতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। এসব ইউনিয়ন অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ হওয়ায় করোনা  সংক্রামন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। ঔষধের দোকান ব্যতীত নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী এবং কাঁচামালের বাজার সকাল দশটার পর বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

আজ পর্যন্ত  কেরানীগঞ্জে মোট ৪৬ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত করা হয়েছে। এরমধ্যে কেরানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক নারী চিকিৎসক ও  একই প্রতিষ্ঠানে এসিস্ট্যান্ট মেডিকেল অফিসার এবং কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় কমরর্ত এএসআইসহ জিনজিরা ইউনিয়নে ১৩ জন, শুভাঢ্যায় ১২ জন, আগানগর ৭ জন, কোন্ডা ৪ জন, কালিন্দী ৪ জন, শাক্তায় ৩ জনের করোনা পজেটিভ চিহ্নিত হয়। এদের মধ্যে ৩ জন মৃত্যুবরণ করে।

কেরানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মীর মোবারক হোসেন জানান, এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি দরকার ঘরে থাকা ও সচেতন থাকা। আক্রান্ত এলাকাগুলোর বসবাসরত মানুষের চিকিৎসার বিষয়গুলো আমরা দেখভাল করছি।

হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে সব ধরনের সহযোগিতার পাশাপাশি অন্যান্য বিষয়গুলো উপজেলা প্রশাসন দেখভাল করছে বলে জানান এ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।