স্বাধীন বাংলা রিপোর্ট : করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সপ্তম দফা ছুটি বাড়িয়েছে সরকার। বিভিন্ন নির্দেশনা মানা সাপেক্ষে ১৭ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। আদেশে ছুটিতে কর্মস্থল ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা, চলাচলে কড়াকড়ির সঙ্গে ঈদ জামাত নিয়েও সতর্কবার্তা দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা আদেশে বলা হয়েছে, আসন্ন ঈদের নামাজের ক্ষেত্রেও বর্তমান বিদ্যমান বিধিবিধান প্রযোজ্য হবে। উন্মুক্ত স্থানে বড় জমায়েত পরিহার করতে হবে। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশণা জারি করবে।
আদেশে আরও বলা হয়েছে, সাধারণ ছুটিতে কেউ কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবে না। এই সময়ে সড়কপথে গণপরিবহন, যাত্রীবাহী নৌযান, ও রেল চলাচল এবং অভন্তরীণ রুটে বিমান চলাচল বন্ধ থাকবে। মহাসড়কে মালবাহী বা জরুরি সেবায় নিয়োজিত যানবাহন ব্যাতীত অন্যান্য যানবাহন কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
এছাড়া, সাধারণ ছুটি এবং চলাচল নিষেধাজ্ঞাকালে এক জেলা থেকে অন্য জেলা বা এক উপজেলা থেকে অন্য উপজেলায় জনসাধারণের চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত থাকবে। জেলা প্রশাসন আইন শৃঙ্খোবাহিনীর সহায়তায় এ নিয়ন্ত্রণ সতর্কভাবে বাস্তবায়ন করবে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধকল্পে জনগণকে অবশ্যই ঘরে অবস্থান করতে হবে। রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত অতীব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া (প্রয়োজনীয় কেনাকাটা, ওষুধ কেনা, চিকিৎসা নেওয়া, মৃতদেহ দাফন বা সৎকার করা, ইত্যাদি) কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে আসা যাবে না।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে গত ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত প্রথম দফায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। পরে দ্বিতীয় দফায় ছুটি ৫ থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি বাড়ানো হয়। তৃতীয় ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ও চতুর্থ দফায় ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি লম্বা করা হয়। পরে আরও ১০দিন বাড়িয়ে ৫ মে পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়। আবারও ১০ দিন বাড়িয়ে ১৬ মে পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়। এরপর সপ্তম দফায় ছুটি আরও ১৪ দিন বাড়িয়ে ৩০ মে পর্যন্ত করা হলো।