কাইয়ুম সুলতানঃ অসচ্ছল ও হতদরিদ্র পরিবারে মা ও ছোট দুটি বোনকে নিয়ে হুমায়ুনের পরিবার। পেশায় সে একজন মিস্ত্রি। বাড়ি মৌলভীবাজারের সদর উপজেলার কামালপুরে। তার রোজগারের টাকায় দুবেলা দু-মুঠো ভাত জোটে পরিবারের সদস্যদের। রবিবার (৩ মে) সকালে প্রতিদিনের মতোই কাজে যায় হুমায়ুন। হঠাৎ খবর আসে ছাদের উপর থেকে পরে গেছে সে। হাসপাতালে নেওয়ার পর ডাক্তার জানায় হাটু, গুড়ালি, উরু, হাত ও কমরের বেশ কয়েকটি জায়গার হাঁড় ভেঙে গেছে তার। হতাশ হয়ে পড়ে তার পরিবার। আর্থিক অবস্থা নিতান্তই খারাপ। কীভাবে হবে ছেলের চিকিৎসা? তাই নিয়ে দুশ্চিন্তায় পরিবারটি। প্রাথমিকভাবে এলাকার অনেকের সাহায্য সহযোগিতায় দুইটি অপারেশন সম্পন্ন হয়। খবর পেয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় হিউম্যান ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন। সংগঠনটির দেশে ও বিদেশে অবস্থানরত সদস্যরা শুরু করেন তহবিল গঠন। একে একে জমা হয় ৬২,০০০ টাকা। বৃহস্পতিবার বিকাল ৩ টায় সংগঠনের সদস্যরা ছুটে যান হুমায়ুনের বাড়িতে। নকশা মিস্ত্রি অসুস্থ হুমায়ূনের মায়ের হাতে চিকিৎসা ও অপারেশনের জন্য ৬২ হাজার টাকা তুলে দেন। সাথে একটি কোরআন শরিফ, জায়নামাজ এবং তাসবীহ উপহার দেন। প্রচারবিমুখ এ সামাজিক সংগঠনটি এভাবেই কাজ করছে মানুষের জন্য।
সংগঠনটির সভাপতি আব্দুস সামাদ খানের সাথে কথা হলে তিনি জানান, হিউম্যান ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন একটি মানবতাবাদী সংগঠন হিসাবে সব সময় আর্থমানবতার সেবায় ও মানুষের জন্য কাজ করে আসছে। যা ভবিষ্যতে চলমান রাখতে আমাদের সকল সেচ্চাসেবী সদস্য ঐক্যবদ্ধ। আমরা সবাই একসাথে কাজ করছি এবং ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে।