আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বৈশ্বিক মহামারি নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৬ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। আর এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩ লাখ ১৩ হাজার।

রোববার সকাল পর্যন্ত করোনায় বিশ্বে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে তিন লাখ ১৩ হাজার ২৬০ জনে এবং আক্রান্তের সংখ্যা ৪৭ লাখ ২১ হাজার ৮৪৬ জন। অপরদিকে চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৮ লাখ ১২ হাজার ১৫৭ জন।

গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে এই মহামারি শুরু হলেও এখন ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ আকার নিয়েছে। আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যায় সবার ওপরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ লাখ ৭ হাজার ৭৭৩ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৯০ হাজার ১১৩ জনের। সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ৩৯ হাজার ২৩২ জন।

হঠাৎ করে সংক্রমণ বেড়ে গেছে রাশিয়ায়। আক্রান্তের দিক দিয়ে ব্রিটেন-ইতালিকে পেছনে ফেলে তৃতীয় অবস্থানে চলে এসেছে দেশটি। সেখানে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৭২ হাজার ৪৩ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২৫৩৭ জনের।

মৃত্যুর সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের পরেই রয়েছে ইউরোপের দেশ  যুক্তরাজ্য। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৩৪ হাজার ৫৪৬ জন। আক্রান্ত হয়েছে ২ লাখ ৪১ হাজার ৪৬১ জন। তৃতীয় অবস্থানে থাকা ইতালিতেও মৃতের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ৩১ হাজার ৭৬৩ জন। আর মোট আক্রান্ত হয়েছে ২ লাখ ২৪ হাজার ৭৬০ জন।

ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোর মধ্যে স্পেনে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ২৭ হাজার ৫৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে ২ লাখ ৭৬ হাজার ৫০৫ জন। অন্যদিকে ফ্রান্সে এখন পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা স্পেনের কাছাকাছি। দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ২৭ হাজার ৫৩২ জনের। আর আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৭৯ হাজার ৬৩০ জন।

যে চীন থেকে করোনাভাইরাসের উৎপত্তি সেই চীনে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক হিসাবে মৃতের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের কয়েকটি দেশ তুলনায় বেশ কম। দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এতে রোববার সকাল পর্যন্ত দেশটিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৬৩৮ জনে। এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হিসেবে দেশটিতে শনাক্ত হয়েছে ৮৪ হাজার ৪৪ জন।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নেয়া হয়েছে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ। অধিকাংশ দেশেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা নিশ্চিত করতে মানুষের চলাফেরার ওপর বিভিন্ন মাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। কোনো কোনো দেশে আরোপ করা হয়েছে সম্পূর্ণ লকডাউন, কোথাও কোথাও আংশিকভাবে চলছে মানুষের দৈনন্দিন কার্যক্রম। এ ধরনের পদক্ষেপ নেয়ার কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন এলাকার প্রায় অর্ধেক মানুষ চলাফেরার ক্ষেত্রে কোনো না কোনো মাত্রায় নিষেধাজ্ঞার ওপর পড়েছেন। তবে এরই মধ্যে কোনো কোনো দেশে করোনার প্রভাব কমে যাওয়া লকডাউন শিথিল ও নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে।