মঙ্গলবার বাংলাদেশে আঘাত হাতনে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’
17, May, 2020, 6:32:2:PM
স্বাধীন বাংলা রিপোর্ট: দিকে পরিবর্তন না করলে আগামী ১৯ মে (মঙ্গলবার) দিবাগত রাতে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলাগুলোতে আঘাত হানতে পারে। বলে জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ এনামুর রহমান। আজ রবিবার সচিবালয়ে তিনি এ কথা বলেন।
দুর্যোগ মোকাবেলায় সরকার প্রস্তুত জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্ফান যদি তার গতি ও দিক পরিবর্তন না করে তাহলে আগামী ১৯ মে দিনগত রাতে বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলাগুলোতে আঘাত হানতে পারে। তবে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতি রয়েছে।
সরকারের প্রস্তুতির ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, দেশে এখন এমনিতেই করোনা মহামারী চলছে। তাই সামাজিক দূরত্বের বিষয়টি মাথায় রেখে উপকূলীয় জেলাগুলোতে সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সাইক্লোন সেন্টারের পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মানুষকে আপদকালীন মুহুর্তে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এসব বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ মোকাবিলায় পূর্বপ্রস্তুতি ও করণীয় বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সচিব ও সিনিয়র সচিব এবং উপকূলীয় জেলাগুলোর জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে অনলাইনে সভা করেন।
এদিকে খুলনায় ‘আম্ফান’ এর ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ৩৪৯টি আশ্রয় কেন্দ্রের পাশাপাশি উপকূলীয় এলাকার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ঘূর্ণিঝড়ে দুই লাখ ৩৮ হাজার ৯৫০ জনকে আশ্রয় কেন্দ্রে আনতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া জেলা-উপজেলায় পর্যায়ে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন।
তিনি বলেন, করোনার মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে আশ্রয় কেন্দ্রের পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে কাজে লাগানো হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতি এড়াতে রেডক্রিসেন্ট, সিপিপিসহ ২ হাজার ৪৬০ জন স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছেন। বেসরকারি এনজিও’র রয়েছে আরও ১১শ’ স্বেচ্ছাসেবক। এরই মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। সেখানে প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি দেখে প্রয়োজনে উপকূলবাসীকে দ্রুত আশ্রয় কেন্দ্রে আনতে স্বেচ্ছাসেবক কর্মীরা কাজ করছেন।