ঘুণিঝড় আম্পান: বাড়ছে জোয়রের পানি, ১০ নম্বর ‘মহাবিপদ সংকেত’ জারি
20, May, 2020, 9:23:17:AM
বিশেষ সংবাদাদাতা: ঘুণিঝড় আম্পানের প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলে বৃষ্টি শুরু হয়েছে গতকাল মঙ্গলবার রাত থেকেই। ইতোমধ্যে জোয়ারের পানি বাড়তে শুরু করেছে। নিম্নাঞ্চলের মানুষের মাঝে আতঙ্ক বাড়ছে। আবহাওয়া অফিস বলছে ১০-১৫ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বা হতে পারে। ঘূণিঝড়টি বাংলাদেশ সমূদ্র উপকূলের ৪০০ কিলোমিটারের মধ্যে চলে এসেছে। মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে ১০ নম্বর ‘মহাবিপদ সংকেত’ দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর।
উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
তবে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার বন্দরকে আগের মতই ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৬ নম্বর সংকেতের আওতায় থাকবে।
আবহাওয়ার সর্বশেষ বিশেষ বুলেটিনে জানানো হয়েছে, বুধবার বিকাল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে সুন্দরবনের কাছ দিয়ে এ সুপার সাইক্লোন পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে। এ সময় ঝড়টির বাতাসের বেগ ঘণ্টায় প্রায় দেড়শ কিলোমিটার বা তার বেশি থাকতে পারে।
আবহাওয়াবিদ আব্দুল হামিদ বুধবার সকালে গণমাধ্যমকে বলেন, ঝড়ের সময় উপকূলীয় জেলার দ্বীপ ও চরের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১০-১৫ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
আবহাওয়ার বুলেটিনে বলা হয়, বুধবার সকাল ৬টায় ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে; কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে; মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪১০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
তখন ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৮৫ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছিল।
মঙ্গলবার রাত ১০টায় কলাপাড়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বশির আহমেদ জানান, ‘ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে বৃষ্টি ও দমকা বাতাস বইতে শুরু করেছে। বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানার পর এর বাতাসের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১৪০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার।’