হে বরেণ্য কবি- তোমার এতটুকু সময় হবে কি, একটি মহাকাব্য লেখার? যেখানে আমি থাকবো তোমার স্বপ্নচারিনীরূপে, কাব্যরসে টইটুম্বুর একটি কবিতা হয়ে। কবি নয়, আমি কবিতা হতে চাই, হে কবি লিখে যাও অবিরাম, তোমার ভালোবাসার কবিতা, হতে চাই আমি সেই কবিতার শব্দগুচ্ছ, যেন প্রতিমুহূর্তে কবিতার প্রেমেই পড়ি। হে কবি, লিখে দাও একটি কবিতা, যেখানে থাকবে উচ্ছ্বসিত সোনালী অতীত, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির হিসেব আর দীর্ঘশ্বাসের কথা। অকুণ্ঠ জ্যোৎস্নায় ভিজে ভিজে স্বপ্নবুননের কথা। হে কবি, ভালোবেসে লিখে দাও, তিমির সরায়ে সরায়ে রৌদ্রজ্জ্বল প্রভাতে পৌঁছানোর কথা। যাপিত জীবনের ইতি কথা, আলো-আধারিতে ঢেকে থাকা বিরহ বিদূর জীবনের কাব্যগাঁথা। হে প্রেমের কবি, আমার কল্পরঙের সবটুকু রঙ তোমায় দিলাম, লিখে দাও আমার গোপন অভিসারের কথা, প্রতিমুহূর্তে ঝরে পড়ার কথা। কবিতার প্রেমে পূর্ণ করে দাও, আমার এ হৃদয়, অঙ্গন। হে মানবতার কবি, শব্দও বর্ণের ভাঁজে ভাঁজে সাজিয়ে দাও, আমার মায়ের ভেঙ্গে যাওয়া স্বপ্নের কথা, এক আশাহত রমনীর অসময়ে ঝরে পড়ার কথা। হে দ্রোহের কবি, তুমি লিখে দাও- আমার নীরবতার কথা, বিদ্রোহী হয়ে ওঠার কথা, একটি মায়াবী নক্ষত্রের ফেরারী হবার কথা। তোমার মহাকাব্যে, আমি বেঁচে থাকতে চাই অনন্তকাল, বর্ণিল প্রেমের কবিতা হয়ে, হবে কি সময় তোমার, হে কবি?