স্বাধীন বাংলা রিপোর্ট : মহামারি নভেল করোনাভাইরাসে দেশে প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ১৫৪১ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৮ হাজার ২৯২ জনে। একই সময়ে মৃত্যু হয়েছে ২২ জনের। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৫৪৪ জনে।ও
বুধবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এ তথ্য জানান।
ডা. নাসিমা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সাত হাজার ৮৪৩টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় আগের কিছু মিলিয়ে আট হাজার ১৫টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো দুই লাখ ৬৬ হাজার ৪৫৬টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় করোনার উপস্থিতি পাওয়া গেছে আরও এক হাজার ৫৪১ জনের দেহে। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ২২ শতাংশ। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮ হাজার ২৯২ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ২২ জন। ফলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৫৪৪ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ৩৪৬ জন। এ নিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল সাত হাজার ৯২৫ জনে।
ডা. নাসিমা বলেন, নতুন ২২ জনের মধ্যে ২০ জন পুরুষ এবং ২ জন নারী। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১০ জন, সিলেট বিভাগে ২ জন। বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায় যায়, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে একজন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে সাত জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে দুই জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে সাত জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে দুই জন, ২১ বছর থেকে ৩০ বছরের মধ্যে দুই জন, শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন। এদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ২১ জন এবং বাসায় মারা গেছেন একজন।
গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে আরও ২৮১ জনকে এবং বর্তমানে আইসোলেশনে রয়েছেন চার হাজার ৯৯৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৫৭ জন এবং এ পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন দুই হাজার ৩৮০ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক মিলিয়ে কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে দুই হাজার ৭৮৯ জনকে। এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে দুই লাখ ৭১ হাজার ১০৪ জনকে। গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড় পেয়েছেন দুই হাজার ৮২ জন। এ পর্যন্ত মোট ছাড় পেয়েছেন দুই লাখ ১৪ হাজার ৪০৮ জন। বর্তমানে হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক মিলিয়ে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৫৬ হাজার ৬৯৬ জন।
দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য ৬২৬টি প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে সেবা দেয়া যাবে ৩১ হাজার ৮৪০ জনকে।