আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া নভেল করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ নিয়ে চীনের পক্ষপাতিত্ব করার অভিযোগ এনে আগেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-ডব্লিউএইচওকে অর্থসহায়তা বন্ধ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এবার তাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে যাচ্ছে দেশটি। জাতিসংঘের সংস্থাকে অভ্যন্তরীণ সংস্কারের প্রস্তাব দেওয়ার পর তাতে সাড়া না পাওয়ায় শুক্রবার এ ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ট্রাম্প বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করছে আমেরিকা। সব ফান্ডিং বন্ধ করে ওই টাকা অন্য কোনো সংস্থাকে দেওয়া হবে। আমেরিকার দাবি না মানায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হল বলেও জানিয়েছেন ট্রাম্প। খবর রয়টার্স ও দ্য গার্ডিয়ানের।

গত ডিসেম্বরে চীনের উহান প্রদেশ থেকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মহামারি আকারে বিশ্বের ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। এখন পর্যন্ত  আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৬০ লাখ। মারা গেছে ৩ লাখ ৬৫ হাজারের বেশি মানুষ। এই মারণ ভাইরাসে সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত আমেরিকা। সে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১৮ লাখ। সবচেয়ে বেশি মৃত্যুও  হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। মৃতের সংখ্যা এ পর্যন্ত এক লাখ  ছাড়িয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার করোনাভাইরাসকে চীনের কাছ থেকে পাওয়া জঘন্য উপহার হিসেবে বর্ণনা করার ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওপর খড়গহস্ত হলেন ট্রাম্প।

হোয়াইট হাউজের রোজ গার্ডেনে শুক্রবার ট্রাম্প বলেন, তারা আমাদের অনুরোধ রাখতে ব্যর্থ হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় সংস্কারও করেনি। তাই আজ আমরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ছিন্ন করতে যাচ্ছি। আর তাদের দেওয়া ফান্ডগুলো অন্য সংস্থার মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে জরুরি স্বাস্থ্য প্রকল্পে দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওপর পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ রয়েছে চীনের। কিন্তু চীন ওই সংস্থাকে বছরে মাত্র ৪০ মিলিয়ন ডলার দেয় ও আমেরিকা সেখানে বছরে ৪৫০ মিলিয়ন ডলার দেয়।

এ ছাড়া তিনি করোনাভাইরাস ইস্যুতে  চীনের দিকে আঙুল তুলে ট্রাম্প বলেন, এই ভাইরাসের ব্যাপারে বিশ্বের কাছে চীনকে জবাব দিতে হবে। আমাদের স্বচ্ছতা থাকা উচিত। করোনাভাইরাসের বিষয়ে চীনের কাছে যেসব তথ্য ছিল তা তারা ঠিকমতো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে জানায়নি। বিশ্বকে বিভ্রান্ত করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওপর চাপ প্রয়োগ করেছিল চীন।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, চীন দিনের পর দিন আমেরিকার গোপন তথ্য হাতানোর চেষ্টা করেছে। তাই চীনা নাগরিকের আসার ক্ষেত্রে ও আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণায় যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে।