গরীবদের নমুনা পরীক্ষার ফি যৌক্তিক পর্যায়ে রাখার আহ্বান কাদেরের
1, July, 2020, 4:50:26:PM
স্বাধীন বাংলা রিপোর্ট: অসহায়, গরীব, খেটে খাওয়া মানুষের করোনাভাইরাস পরীক্ষার ফি যৌক্তিক পর্যায়ে রাখার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ বুধবার নিজের সরকারি বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “করোনা পরীক্ষায় ফি নির্ধারণের বিষয়টি সম্প্রতি আলোচিত হচ্ছে। এতে অসহায় দরিদ্র মানুষ পরীক্ষা থেকে দূরে থাকবে বলে বিশ্লেষকরা বলছেন। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়বে আরো দ্রুতগতিতে।
“আমি দরিদ্র ও অসহায় মানুষের সামর্থ্য বিবেচনায় ফি নির্ধারণের বিষয়টি যৌক্তিক পর্যায়ে রাখার আহ্বান জানাচ্ছি সংশ্লিষ্টদের প্রতি। গরীব খেটে খাওয়া মানুষের ফি দেয়ার সামর্থ্য নেই। তারা পরীক্ষার বাইরে থেকে যাবে। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ করছি।”
শুরু থেকে সরকারি ব্যবস্থায় বিনামূল্যে করোনাভাইরাসের নমুনা করা হলেও সম্প্রতি এজন্য ফি নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। বুথ থেকে নমুনা সংগ্রহ এবং হাসপাতালে ভর্তি রোগীর নমুনা পরীক্ষার ক্ষেত্রে ২০০ টাকা করে আর বাসা থেকে নমুনা সংগ্রহ করলে ৫০০ টাকা ফি লাগবে বলে গত ২৯ জুন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক পরিপত্রে জানানো হয়।
তরুণদের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেশি ঘটছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, “তরুণদের অনেকের মাঝে উদ্বেগহীন চলাচল, সামাজিক দূরত্ব না মানা এবং জনসমাগমে যাওয়ার প্রবণতার কারণে সংক্রমণ বেশি। তাদের থেকেই পরিবারের জন্য অন্য সদস্যরা আক্রান্ত হচ্ছে বা আশঙ্কা রয়েছে। রোগ প্রতিরোধ শক্তি অপেক্ষাকৃত কম হওয়ায় পরিবারের বয়স্ক সদস্যরা ঝুঁকিতে পড়ছে, প্রাণ হারাচ্ছে। তাই আমি তরুণ-যুবকসহ সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ করছি।”
বেশকিছু এলাকায় নতুন করে লকডাউনের কথা জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “সরকার নতুন করে ঢাকা মহানগরের কিছু এলাকাসহ অনেক জেলায় নির্দিষ্ট স্থানে লকডাউন কার্যকর করেছে। যেসব এলাকায় লকডাউন শেষ হয়েছে সেখানে ইতিবাচক ফল এসেছে বলে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন।
“যে সকল এলাকায় এখন (লকডাউন) চলমান এবং সামনে আসছে আপনারা ধৈর্যের সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করুন, সরকারকে সহযোগিতা করুন। এই আপাত বিচ্ছিন্নতা আমাদের সকলের কল্যাণের জন্য। সাময়িক এই বিচ্ছিন্ন থাকা দীর্ঘমেয়াদে প্রিয়জনের সান্নিধ্য নিশ্চিত করার জন্য।”
কোরবানির ঈদের সময় পশুর হাট থেকে সংক্রমণ বাড়তে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
“সংক্রমণ চলমান পর্যায়ে নতুন করে উদ্বেগ-উত্কণ্ঠা নিয়ে এসেছে ঈদুল আজহা উপলক্ষে পশুর হাট। কোরবানির পশুর হাট সংক্রমণের হার আরও বাড়িয়ে দেয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ বিষয়ে আমাদের গভীরভাবে চিন্তাভাবনা করে কার্যকর একটি গাইডলাইন তৈরি করতে হবে। প্রয়োজনে পশুর হাটের সংখ্যা কমিয়ে আনতে হবে। যত্রতত্র পশুরহাট এর অনুমতি দেয়া যাবে না। কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি পালন না করলে কোরবানির পশুর হাট স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে যেতে পারে।
“তাই আমি সংশ্লিষ্টদের এই বিষয়ে আগেই করণীয় নির্ধারণের আহ্বান জানাচ্ছি। এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে মহাসড়কের উপর কিংবা পাশে অনুমতি দেয়া যাবে না। অনুমতি প্রদানের ক্ষেত্রে সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে।”