বাবুল মিয়া সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জে  বাউল একাডেমী ও বাউল পল্লী নির্মাণের দাবিতে পরিকল্পনামন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।  গতকাল শনিবার সুনামগঞ্জ বাউল একাডেমি ও বাউল পল্লী বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক ফজলে রাব্বি স্মরণ এর নেতৃত্ব এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

পরে সাংবাদিকদের ফজলে রাব্বি স্মরণ বলেন, সুনামগঞ্জকে বলা হয়ে থাকে গানের রাজধানী। কারণ প্রকৃতিগত ভাবেই প্রতিটি মানুষের মধ্যে চলে আসে গানের ভাব। সুনামগঞ্জে জন্ম নেওয়া জগত বিখ্যাত বাউল সাধক ও গীতি  কবিদেরচারণ ভূমিও বলা হয়ে থাকে সুনামগঞ্জকে। আজ দেশের গানের ভান্ডার যাদের জন্য সমৃদ্ব ও পরিপূর্ণ যাদেরকে নিয়ে আমরা গর্ব করি তাদের মধ্যে অন্যতম রাধারমণ, হাসন রাজা, শাহ আব্দুল করিম, দূরবিন শাহসহ অসংখ্য মরমী কবি ও বাউল। বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতির বিশাল জায়গা জুড়েই তারা রয়েছেন ধ্রুব তারা হয়ে। কিন্তু যাদের মাটি ও মানুষের গানে বিমোহিত করে রাখে আবালবৃদ্ধ সকল শ্রেণীর মানুষকে। সেই বাউলসাধক ও গীতিকবিদের জন্য আলাদা ভাবে কোন বাউল একাডেমী বা বাউলদের জন্য নেই আবাসনের পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা কিংবা ব্যবস্থা।

‘তারা এতটাই অবহেলিত যে, ঠিকমত সংসার চালাতে পারেন না। গান পাগল এসব বাউল টাকার অভাবে বিনা চিকিৎসায় বিছানায় শুয়ে শুয়ে গুণতে হয় মৃত্যুর প্রহর। আমি মাননীয় পরিকল্পনা মন্ত্রী মহোদয়ের মাধ্যমে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে বাউল সাধকদের টিকিয়ে রাখার বৃহৎ স্বার্থেই লোক সংস্কৃতি চর্চায় বাউল একাডেমী ও বাউল পল্লী নির্মাণের জোর দাবী জানাচ্ছি’।   

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ। আরও উপস্থিত ছিলেন, গীতিকার দিলাউর রহমান, সাংবাদিক আল হেলাল, বাউল হীরা মোহন, বাউল শাহ জাহান, বাউল রশিদ উদ্দিন, বাউল সফিক, গীতিকার অরুণ তালুকদার, বাউল জয়নাল, লাল শাহ, সমর উদ্দিন, কাদির শাহ, আমজদ পাশা, আলী আকবর, দিলীপ দাস, গীতিকার আব্দুল কাহার প্রমুখ।