জঘন্য প্রতারক সাহেদ গ্রেফতার না হওয়ায় চরমোনাই পীরের ক্ষোভ
9, July, 2020, 8:27:58:PM
স্বাধীন বাংলা রিপোর্ট: ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর চরমোনাই বলেছেন, দেশের স্বাস্থ্য খাতের সীমাহীন দুর্নীতির সর্বশেষ বহিঃপ্রকাশ রিজেন্ট হাসপাতালের করোনা টেস্ট জালিয়াতি। টেস্টের নামে ভুয়া সনদ দিয়ে মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলায় জড়িত রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান প্রতারক সাহেদ করীমসহ সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, সাহেদের অপকর্মের শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে হবে। ৬ বছর ধরে অনুমোদনহীন হাসপাতালকে করোনা টেস্টের সুযোগ দিয়ে দুর্নীতি ও প্রতারণাকে সরকার উৎসাহিত করছে। সাহেদের মতো একজন জঘন্য প্রতারক এখনো গ্রেফতার না হওয়া খুবই লজ্জাজনক ব্যাপার বলেও আজ এক বিবৃতিতে তিনি জানান।
পীর চরমোনাই আরো বলেন, রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদের এত অপকর্মের পরও সে কিভাবে সরকারের উচ্চ পদস্থদের সাথে ঘনিষ্টপূর্ণ ছবি আপলোড করে এবং ক্ষমতাসীন দলের নাম ভাঙ্গিয়ে প্রতারণা করেছে তা ভাবিয়ে তুলেছে। তার হাসপাতালের মেয়াদ ৬ বছর পূর্বে শেষ হওয়ার পরও কিভাবে করোনা টেস্টের অনুমোদন পায়, তা আমাদের বোধগম্য নয়। এই প্রতারকের সাথে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চুক্তিই প্রমাণ করে দেশের চিকিৎসা সেবা কোন পর্যায়ে? এত অপকর্ম করে সাহেদ কিভাবে টিকে থাকলো, প্রশাসন বা দেশের চালিকা শক্তি বলে কি কেউ নেই?
পীর সাহেব বলেন, সরকারি দলের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপকমিটির সদস্য হিসেবে পরিচিত প্রতারক সাহেদ সরকার দলীয় পরিচয়ে প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে দাপটের সাথে চলাফেরা করেছে। এ পরিচয়ে বিভিন্ন টিভি টকশোতে সে প্রকাশ্যে সরকারি দলের হয়ে কথা বলেছে। র্যাবের প্রশংসনীয় অভিযানের ফলে রিজেন্ট হাসপাতালের জালিয়াতি ও সাহেদের দুর্নীতি ও প্রতারণা প্রকাশ পেয়েছে।
নমুনা পরীক্ষা না করেই কোভিড টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট বানিয়ে মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা কোনভাবেই সহ্য করার মত নয়। প্রতারক সাহেদকে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে এবং তার অপকর্মের সাথে জড়িত সরকার দলীয় সংশ্লিষ্টদেরকেও আইনের আওতায় আনতে হবে।
মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, এ রকম একজন দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তির প্রতিষ্ঠানকে কোভিড চিকিৎসার জন্য ডেডিকেটেড হাসপাতাল করার পেছনে অনেক রাঘব বোয়াল জড়িত রয়েছে। সরকারের সর্বোচ্চ মহল পর্যন্ত তার বিচরণ ছিল।
পীর সাহেব সাহেদ ও তার মদদদাতাতের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান এবং স্বাস্থ্যখাতে বিরাজমান দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা দূর করে জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।