স্টাফ রিপোর্টার : চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য এবং সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন। শনিবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে মায়ের কবরে তাকে দাফন করা হয়।
আওয়ামী লীগের এ সংগ্রামী নেতাকে বিদায় জানাতে বনানী কবরস্থানে আসেন রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে তার সহকারী সামরিক সচিব কর্নেল রাজু আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকীব আহমেদ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ এবং বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
সাহারা খাতুনের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয় রাজধানীর ফার্মগেট বায়তুশ শরফ জামে মসজিদে। সেখান থেকে বনানী কবরস্থানে দ্বিতীয় দফায় জানাজা শেষে দাফন করা হয়। নানা জটিলতা নিয়ে অসুস্থ সাহারা খাতুনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৬ জুলাই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ব্যাংককে নেয়া হয়েছিল। ভর্তি করা হয় সেখানকার বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাতে তার মৃত্যু হয়।
শুক্রবার মধ্যরাতে মরদেহ ব্যাংকক থেকে ঢাকা পৌঁছায়। রাতে বিমানবন্দরে সাহারা খাতুনের মরদেহ গ্রহণ করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর অন্যতম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। আওয়ামী লীগ নেতারা বিমানবন্দরে মরদেহ গ্রহণের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন।
৭৭ বছর বয়সী সাহারা খাতুন জ্বর, অ্যালার্জির সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় আক্রান্ত ছিলেন। গত ৩ জুন ভোর ৪টা ৪০ মিনিটে শ্বাসকষ্ট নিয়ে তিনি রাজধানীর ইউনাইডেট হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ব্যাংক যাওয়ার আগ পর্যন্ত সেখানেই তার চিকিৎসা চলছিল।
১৯৪৩ সালের ১ মার্চ ঢাকার কুর্মিটোলায় জন্মগ্রহণ করেন সাহারা খাতুন। তার বাবার নাম আব্দুল আজিজ ও মাতার নাম টুরজান নেসা। সাহারা খাতুন তিন মেয়াদ ধরে ঢাকা-১৮ আসন থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত সংসদ সদস্য। ২০০৮ সালে মহাজোট ক্ষমতায় এলে প্রথমে তাকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী করা হয়। পরে সেখান থেকে সরিয়ে পাঠানো হয় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে।
সাহারা খাতুন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে একজন আইনজীবী হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। আওয়ামী লীগের এই প্রেসিডিয়াম সদস্য বাংলাদেশ আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক। এছাড়া তিনি আন্তর্জাতিক মহিলা আইনজীবী সমিতি ও আন্তর্জাতিক মহিলা জোটের সদস্য।