স্বাধীন বাংলা রিপোর্ট: দেশের বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে ধাবিত হতে পারে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় নীলফামারী, লালমনিরহাট, রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, বগুড়া, জামালপুর, নাটোর, সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। আজ রোববার এ তথ্য দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
বন্যার অবনতির চিত্র তুলে ধরে তারা আরও বলছে, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা, গঙ্গা-পদ্মা ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আপার মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া যমুনা নদীর কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে এবং পদ্মা নদীর গোয়ালন্দ পয়েন্টে পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে এবং বিপদসীমার ওপরে অবস্থান করতে পারে।
আগামী ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণ-পূর্ব পার্বত্য অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতও হতে পারে। ফলে এ অঞ্চলের সাঙ্গু, হালদা, মুহুরী ও মাতামুহুরী নদীর পানি দ্রুত বাড়তে পারে।
বন্যা সতর্কীকরণ ও পূর্বাভাস কেন্দ্র আরও বলছে, বাংলাদেশ ও ভারত উভয় অংশেরই বিভিন্ন অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। শনিবার সকাল ৯টা থেকে রোববার সকাল ৯টা পর্যন্ত সময়ে বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাত হয়েছে সুনামগঞ্জে ১৫০ মিলিমিটার, কমলগঞ্জে ১০৮, সিলেটে ৯৫, শেওলায় ৯২, নোয়াখালীতে ৮৫, লালাখালে ১৪৮, মনু রেলওয়ে ব্রিজে ১০৪, শেরপুর-সিলেটে ৯২, পঞ্চগড়ে ৯২, ইটাখোলায় ৮৪, ঠাকুরগাঁওয়ে ১২১, মৌলভীবাজারে ৯৮, লরেরগড়ে ৯২, নারায়ণহাটে ৮৯ এবং পরশুরামে ৭৫ মিলিমিটার।
একই সময়ে উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাত হয়েছে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ২৬৬, গ্যাংটকে ৫৩, জলপাইগুড়িতে ১৪৫, শিলংয়ে ৫০ এবং কৈলাশহরে ১২৮ দশমিক ২ মিলিমিটার।
তারা আরও বলছে, পর্যবেক্ষণাধীন ১০১টি পানি স্টেশনের মধ্যে ৭৬টিতে পানি বাড়ছে, ২৩টিতে কমছে এবং ২টিতে অপরিবর্তিত রয়েছে। তার মধ্যে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে ১৬টি স্টেশনে।
বিপদসীমা অতিক্রম করা স্টেশনগুলোর মধ্যে ধরলার কুড়িগ্রাম স্টেশনে ৪৮ সেন্টিমিটার, তিস্তার ডালিয়ায় ১২, তিস্তার কাউনিয়ায় ১, ব্রহ্মপুত্রের নুনখাওয়ায় ১৩, ব্রহ্মপুত্রের চিলমারীতে ১৪, যমুনার ফুলছড়িতে ২৯, যমুনার বাহাদুরাবাদে ১৭, যমুনার সারিয়াকান্দিতে ৯, সিংড়ায় ২০, সুরমার কানাইঘাটে ৮০, সুরমার সুনামগঞ্জে ৪২, সারিগোয়াইনের সারিঘাটে ৬, পুরাতন সুরমার দিরাইয়ে ১৬, যদুকাটার লরেরগড়ে ২ এবং সমেশ্বরীর কলমাকান্দায় বিপৎসীমার ২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।