মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: পুরো পৃথিবী যখন করোনা ভাইরাসের জর্জরিত ও দিশেহারা, তখন দেশের মানুষকে এই মহামারী (কোভিড-১৯) করোনাভাইরাস থেকে কীভাবে সচেতন রাখা যায় তা নিয়ে প্রতিনিয়ত বৈজ্ঞানিক রিসার্চ করে যাচ্ছেন মৌলভীবাজারের ক্ষুদে বিজ্ঞানী এস এম কিবরিয়া।
করোনা ভাইরাস শুরু হওয়ার পর নড়াইলের একটি হাসপাতালে সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজার অর্থায়নে যখন বাংলাদেশে প্রথম ডক্টর সেফটি চেম্বার স্থাপন করা হয় তখন বাংলাদেশে দ্বিতীয় ডক্টর সেফটি চেম্বার তৈরি করলো মৌলভীবাজারের সেই ক্ষুদে বিজ্ঞানী এস.এম কিবরিয়া।
কিবরিয়া জানান, এই ডক্টরস সেফটি চেম্বার দ্বারা ডাক্তার, এবং রোগী ও সাধারণ মানুষ এই মহামারী করোনা ভাইরাস থেকে নিরাপদ থাকবেন ও ডাক্তারদের জীবনের ঝুঁকি কিছুটা হলেও কমে আসবে।
এই ক্ষুদে বিজ্ঞানী আরও একটি প্রজেক্ট তৈরী করেছেন, যা করোনা ভাইরাস থেকে সাধারণ মানুষকে নিরাপদে রাখার জন্য বিভিন্ন নেতৃবৃন্দের অর্থায়নে হাসপাতাল, উপজেলা পরিষদ, থানা কমপ্লেক্স, মসজিদ, শপিংমহল, বাজারের প্রধান গেইটের সামনে ব্যবহার করা হচ্ছে এই জীবাণুনাশ ট্যানেলটি। এই জীবাণুনাশ টানেল অটোমেটিক সেন্সর দ্বারা পরিচালিত হয় এবং টানেল টি-তে পাঁচটি নজেল দ্বারা একদম কুয়াশার মতো স্প্রে করে এবং টানেলটির মধ্যে সোডিয়াম হাইড্রোক্লোরাইড লিকুইড মেডিসিন ব্যবহৃত হয়। এই জীবানুনাশক টানেলের ভিতর দিয়ে প্রবেশ করলে করোনা ভাইরাসসহ বিভিন্ন ধরনের ভাইরাসকে খুবই দ্রুত ধ্বংস করতে পারে। তিনি এই পর্যন্ত ১৪ টি ডক্টরস সেফটি চেম্বার ও ১৫ টি জীবানুনাশক টানেল বন্টন করেছেন।
কিবরিয়া বলেন আমি যদি পরিপূর্ণ সার্পোট পেতাম তাহলে এই করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরির জন্য গবেষণা করতাম।
কিবরিয়া রাজনগর সরকারি কলেজ এর বিজ্ঞান এর মেধাবী ছাত্র। বৈজ্ঞানিক রিসার্চ ও লেখা পড়ার পাশাপাশি সংবাদকর্মী হিসেবে বিভিন্ন পত্রিকায় কাজ করে যাচ্ছেন এই ক্ষুদে বিজ্ঞানী।