স্বাধীন বাংলা ডেস্ক: টেক্সাসের হিউস্টনে চীনা কনস্যুলেট শুক্রবারের মধ্যে বন্ধ করে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে মার্কিন সরকার। ওদিকে, সানফ্রানসিসকোতে চীনা কনস্যুলেট নিয়েও ওয়াশিংটনের সাথে জটিলতা শুরু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বলছে সেখানে, একজন চীনা বিজ্ঞানী ভিসা জালিয়াতি করে গ্রেফতার এড়াতে লুকিয়ে রয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি চীনা সেনাবাহিনীর (পিএলএ) একজন বিজ্ঞানী। এদিকে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন ওয়াশিংটনে চীনা দূতাবাস বোমা হামলা এবং হত্যার হুমকি পেয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনইং ট্ইুট করেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সরকার যেভাবে চীনের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়াচ্ছে তার পরিণতিতেই দূতাবাসকে লক্ষ্য করে বোমা ও হত্যার এই হুমকি।’

মার্কিন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (এফবিআই) অভিযোগ করছে, ভিসা জালিয়াতি করে যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকা একজন চীনা বিজ্ঞানী গ্রেপ্তার এড়াতে সানফ্রানসিসকোর চীনা কনস্যুলেটে গিয়ে লুকিয়ে রয়েছেন। এফবিআই এর কৌঁসুলিরা (প্রোসিকিউটার) ক্যালিফোর্নিয়া আদালতে দায়ের করা এক মামলায় বলছেন, ওই বিজ্ঞানী চীনা সেনাবাহিনীর (পিএলএ) সদস্য, কিন্তু তিনি ভিসার আবেদনপত্রে তিনি তা গোপন করেছেন।

তারা দাবি করছেন, ‘সেনাবাহিনীর বিজ্ঞানীদের ছদ্মবেশে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানোর যে কর্মসূচি চীনের রয়েছে তার অংশ হিসাবে ঐ বিজ্ঞানীকে পাঠানো হয়েছে।’

জুয়ান ট্যাং নামে ওই চীনা নারী ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ায় জীববিজ্ঞানের একজন গবেষক। এফবিআই বলছে, গত মাসে এক জিজ্ঞাসাবাদের সময় মিস ট্যাং অস্বীকার করেন যে তিনি পিএলএর’র সদস্য ছিলেন, কিন্তু পরে বিভিন্ন সূত্রে তদন্ত করে তারা দেখেছে তিনি মিথ্যা বলেছেন।

চীন সরকার বলছে যুক্তরাষ্ট্র এখন তাদের বিজ্ঞানী, চীনা ছাত্র-ছাত্রী এবং কনস্যুলেটগুলোকে নানাভাবে হেনস্থা করছে।

হিউস্টনে কনস্যুলেট বন্ধের নির্দেশ নিয়ে বিতর্কের মাঝে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হুমকি দিয়েছেন তিনি চীনের আরো কনস্যুলেট বন্ধ করে দেবেন। ওয়াশিংটনের দূতাবাস ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রে চীনের মোট পাঁচটি কনস্যুলেট রয়েছে।

সূত্র : বিবিসি