স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে ভূত ও চক্রান্তকারীদের প্রবেশ ঘটেছে: ডা. জাফরুল্লাহ
25, July, 2020, 1:44:7:PM
স্বাধীন বাংলা রিপোর্ট: গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকির সভাপতিত্বে আয়োজিত ‘জনস্বাস্থ্য কনভেনশন ২০২০’ এর উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছে, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে ভূত ও চক্রান্তকারীদের প্রবেশ ঘটেছে’।
আজ শনিবার সকাল ১১টার দিকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ভ্যাকসিন গবেষণা করার জন্য সম্মতি দেওয়ার মালিক বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি)। তারা ভ্যাকসিন ট্রায়ালের অনুমতি দিয়েছে। একটা ভ্যাকসিন রিসার্চ করা হবে তাতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এত মাথাব্যথা কেন? স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে ভূতের প্রবেশ ঘটেছে, চক্রান্তকারীদের প্রবেশ ঘটেছে। ঠিক যেভাবে দীর্ঘদিন যাবৎ আন্তর্জাতিক ঔষধ কোম্পানিগুলো পুঁজিবাদের ধার করা তৃতীয় বিশ্বের কণ্ঠরোধ করে রেখেছে।
‘হঠাৎ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এটা বন্ধ করে দিয়েছে, এতে প্রমাণ হয় চক্রান্তে এদের অংশগ্রহণ রয়েছে। বিভিন্নভাবে তাদের চর এবং দালালেরা অনুপ্রবেশ করেছে। তৃতীয় বিশ্বসহ বাংলাদেশেতো অবশ্যই এমন একটা সময়ে এই সম্মেলন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেশের জনগণকে বিষয়টি না বোঝাতে পারলে ভবিষ্যতে হয়তো বাংলাদেশে ওষুধের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাবে’।
উদ্বোধনী বক্তব্যে জাফরুল্লাহ বলেন, ভ্যাকসিনের গবেষণা অনেক সময়সাপেক্ষ এবং অনেক অর্থ ব্যয়ের প্রয়োজন হয়। তবে গবেষণা একবার শুরু হলে উৎপাদন মূল্য অনেক কম হয়। আজকে আমাদের উচিৎ হবে চীনের এই ভ্যাকসিন গবেষণায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করা।
ভ্যাকসিনের সফলতায় শতকরা ৫০ ভাগের মালিক হবে বাংলাদেশ এরকম একটা চুক্তি চীনের সঙ্গে করা যেতে পারে মন্তব্য করে তিনি বলেন, তাতে জনগণের স্বার্থ রক্ষিত হবে। আমি আশা করি আপনারা এই বিষয়টা ব্যাপকভাবে আলোচনা করবেন। আন্তর্জাতিক চক্রান্তকে রুখতে হবে।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রশ্ন রেখে বলেন ‘আইসিডিডিআরবি ইউরোপের বিভিন্ন কোম্পানির পক্ষে অতীতেও গবেষণা করেছে, কই তখন তো কোনো আপত্তি তোলা হয় নাই। আজকে কেন এখানে আপত্তি? এখন আপত্তির কারণ এখানে ট্রিলিয়ন ডলারের ব্যবসা রয়েছে। এর সঙ্গে জনগণের স্বাস্থ্যব্যবস্থা জড়িত। চীনের এই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল যদি সফল হয়, তাহলে আমাদের অনেক অর্থের সাশ্রয় হবে’।