স্বাধীন বাংলা ডেস্ক: নাম তার রাইসা আনসারি। মধ্যপ্রদেশের ইনদোরের বাসিন্দা তিনি। পিএইচডি ডিগ্রিধারী এই মুসলিম নারী কলকাতার রাস্তায় সবজি বিক্রি করতে গেলে পৌরসভার কর্মীরা তাকে বাধা দিয়েছেন। ভারতে মুসলমানরা করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে এমন উদ্ভট ধারণা থেকে তাকে কোন প্রতিষ্ঠান চাকরি দিতে রাজি নয়। বাধ্য হয়ে রাস্তার ধারে সবজি বিক্রি করতে গিয়ে সেখানেও বাধা পেয়ে ঝরঝরে ইংরেজিতে প্রতিবাদ করছেন ওই নারী। এতেই সবার নজর কাড়েন তিনি।

প্রতিবাদের সময় ইংরেজিতে তিনি বলছেন, বাজার বন্ধ। ক্রেতা নেই। আমি রাস্তার ধারে গাড়ি নিয়ে ফল ও সবজি বিক্রি করি। কিন্তু পৌরসভার লোকেরা সেটাও করতে দিচ্ছেন না। আমার পরিবারে ২০ জন সদস্য। কী করে রোজগার করব? কী খাব? কীভাবে বাঁচব?

রাইসা আনসারিকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, ইনদোরের দেবী অহল্যা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেটেরিয়াল সায়েন্সে পিএইচডি করেছেন। মেটেরিয়াল সায়েন্সে পিএইচডি করে তিনি কেন সবজি বিক্রি করছেন? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, আমার প্রথম প্রশ্ন, কে আমায় চাকরি দেবে?

তিনি অভিযোগ করে বলেন, করোনাভাইরাস মুসলমানদের কারণে বেড়েছে- এই ধারণা ভারতজুড়ে। যেহেতু আমার নাম রাইসা আনসারি, কোনো কলেজ বা গবেষণা প্রতিষ্ঠান তাই আমাকে কাজ দিতে রাজি নয়।

উল্লেখ্য, ভারতে অত্যন্ত কৌশলে করোনাকালেও মুসলিম বিরোধী অপপ্রচার চালানো হয়েছে। অপপ্রচার চালানো হয়েছে- মুসলিমরা ভারতে করোনার বিস্তার ঘটিয়েছে। একই অভিযোগে অভিযুক্ত করে তাবলীগ জামাতের বেশ কিছু ধর্মপ্রাণ মুসলমানকে মসজিদের ভেতর আটকে রাখার অভিযোগও এসেছিলো। তবে, মুসলিমদের উপর অভিযোগ দেয়ার আগেই গো-মূত্র পান করেছিল ভারতীয়রা করোনা থেকে বাঁচার জন্য। গো-মূত্রতেও শেষ রক্ষা হয়নি তাদের।