স্বাধীন বাংলা ডেস্ক: সীমান্ত নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে মৃদু উত্তেজনার মধ্যে যাচ্ছিল ভারত-নেপাল। লাদাখে চীনের সঙ্গে ভারতের চরম উত্তেজনার সময় নেপাল যেন নতুন করে গর্জে ওঠলো। প্রকাশ করলো নতুন রাজনৈতি ম্যাপ। ওই ম্যাপে বিরোধপূর্ণ বেশ কিছু ভূমি অন্তর্ভুক্ত করেছে নেপাল। এবার উত্তরাখন্ড রাজ্যের চম্পাবত জেলার বাণিজ্য শহর টনকপুরের অদূরে সীমান্তে ২৫০ গজ ভূমি দখল করে নিয়েছে নেপাল বলে অভিযোগ ভারতের।  

ভারতের অভিযোগ, ওই সীমান্ত দিয়ে দু’দেশের মানুষ প্রায় বাধাহীনভাবে চলাফেরা করতো। কিন্তু গত বুধবার সীমান্তের ব্রহ্মদেব নামে একটি এলাকায় নেপালিরা বেশ কিছু কংক্রিট ও কাঠের খুঁটি গেড়ে গাছপালা লাগিয়ে জবর দখলের চেষ্টা করছে। এ নিয়ে ওই এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী ব্রহ্মদেবে গিয়ে  দু’দফা নেপালিদের বিক্ষোভের মুখে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছে। ওখানে ব্যাপক ভারতবিরোধী স্লোগানের মুখে পড়ে সীমান্ত রক্ষা বাহিনীটি।

বিবিসি বাংলাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে টনকপুর শহরের বস্ত্র ব্যবসায়ী ভিনিত জোশী বলেন, ওরা সীমান্তের জমি অন্যায়ভাবে দখল করে রেখেছে ‘নো ম্যানস ল্যান্ডে’র প্রায় ২৫০ গজ ভেতরে ঢুকে পড়েছে। আমাদের বাহিনী ওখানে গিয়ে বোঝানোরও চেষ্টা করেছে, কিন্তু তাতে লাভ হয়নি।

এদিকে, চম্পাওয়াতের পুলিশ সুপার লোকেশ্বর সিং বলেন, সীমান্তের মিসিং পিলার নাম্বার ৮১১, অর্থাৎ যেখানে কোনও দেশেরই সীমান্ত পিলার নেই, সেখানে ওরা কিছু প্ল্যান্টেশন করেছে ও বেড়া বানানোর প্রস্তুতি নিয়েছে। জায়গাটা নো-ম্যানস ল্যান্ডে পড়ে। রবিবার সকালেও নেপালের কর্মকর্তারা জায়গাটি পরিদর্শন করেছেন। তার পর আমাদের সঙ্গে তাদের আলোচনায় বসার কথা আছে।

খুব শিগিগরই বিষয়টির শান্তিপূর্ণ সমাধান করা সম্ভব হবে জানিয়ে পুলিশ সুপার লোকেশ্বর সিং বলেন, নেপাল কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ জানানো হয়েছে। আমরা প্রথম থেকেই নেপালের স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথাবার্তা বলছি, দিল্লিতেও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। তবে, টনকপুরের স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশ প্রধানের কথায় আশ্বস্ত হতে পারছেন না।

সূত্র: বিবিসি বাংলা