‘দুর্যোগ এলে আ.লীগ খুশি হয়-দুর্নীতির নতুন সুযোগ সৃষ্টি হলো বলে’
27, July, 2020, 1:48:5:PM
স্বাধীন বাংলা রিপোর্ট: দুর্গত এলাকায় অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের সকল নেতা-কর্মী এবং দেশবাসীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেছেন, এই সরকারের দুর্নীতি, ব্যর্থতা, উদাসীনতা, অবহেলা আর অব্যবস্থাপনার কারণে করোনা পরিস্থিতি যেমন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে ঠিক তেমনি বর্তমান বন্যা পরিস্থিতিতেও সরকারের নীরবতা, নিষ্ক্রিয়তা, মানুষকে আতংকগ্রস্ত করে তুলেছে। করোনা-বন্যা এসব দুর্যোগ এলে বরঞ্চ তারা খুশি হয়- দুর্নীতির নতুন সুযোগ সৃষ্টি হলো বলে।
আজ সোমবার দুপুরে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ভারত অভিন্ন নদীগুলোর সকল বাঁধ, ব্যারেজের গেট খুলে দেয়ায় উজান থেকে নেমে আসা বন্যার পানি, বাংলাদেশে ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, মেঘনা, মহানন্দা, পদ্মা, তিস্তা ও ধরলা নদীর অববাহিকায় ৩৪টি জেলা ইতিমধ্যেই প্লাবিত হয়েছে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন- ভারতের সাথে অভিন্ন ১৫৪টি নদীর মধ্যে পদ্মার ফারাক্কা বাঁধ ব্যতীত কোনোটারই কোনো পানিবণ্টন চুক্তি ভারতের অনীহার কারণে সম্পন্ন করতে পারেনি এ সরকার। অথচ একের পর এক ট্রানজিট, বন্দর ব্যবহার, বিদ্যুৎ ক্রয়সহ অসংখ্য অসমচুক্তি স্বাক্ষর করেছে ভারতের সাথে।
মির্জা ফখরুল বলেন, একদিকে কোভিড-১৯ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে অন্যদিকে বন্যা পরিস্থিতিতে ক্রমাগত বাংলাদেশের মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়ছে। একদিকে করোনা মোকাবেলায় সরকারের চরম ব্যথ্যতা মানুষের জীবন ও জীবিকাকে বিপন্ন করে তুলেছে, অন্যদিকে ভারতের উজান থেকে বন্যার পানি নেমে আসাতে মানুষের সম্পদ, বাড়ি-ঘর ভেঙ্গে যাওয়া, গবাদী পশুর মৃত্যু, ফসলহানি দেশের মানুষ সীমাহীন কষ্ট ও অর্থনৈতিক অসহায়ত্বের মধ্যে ফেলেছে।
ফখরুল বলেন, নতজানু পরারাষ্ট্রনীতি কারণে সীমান্তে প্রায় প্রতিদিন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বাংলাদেশীদের গুলি করে হত্যা করছে। সে ব্যাপারেও সরকার কোনো কার্যকরী প্রতিবাদ জানাতে সাহস পায়নি।
মির্জা ফখরুল বলেন, এই যে প্রতিদিন গণমাধ্যমে আসছে বন্যার্ত মানুষের আহাজারি, তাদের অসহায়ত্বের কথা, সহায়-সম্বল হারিয়ে সড়কের অথবা বাঁধের ওপরে আশ্রয় নেওয়া, শিশু-সন্তান, বৃদ্ধ পিতা-মাতা নিয়ে খোলা আকাশের নিচে অভুক্ত থাকা- এই বিষয়গুলো তাদের চিন্তিত করে না। তারা তো ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। জনগণের কাছে তাদের জবাবদিহিতা করতে হয় না।