স্বাধীন বাংলা রিপোর্ট: না ফেরার দেশে চলে গেলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি শফিউল বারী বাবু। প্রচন্ড শ্বাসকষ্ট নিয়ে মঙ্গলবার ভোর ৪টায় রাজধানীর এভার কেয়ার (সাবেক অ্যাপোলো) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি (ইন্না লিল্লাহি ... রাজিউন)।
গত বেশ কিছু দিন ধরে ফুসফুসের সংক্রমণে ভুগছিলেন শফিউল বারী বাবু। ফুসফুসে সংক্রমণজনিত কারণে তার শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। চিকিৎসকের পরামর্শে তিনি বাসাতেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। পরে শ্বাকষ্টের তীব্রতা বেড়ে গেলে গত সোমবার ধানমন্ডির আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা ভর্তি হন তিনি। তার স্বাস্থ্যের অবনতি হলে মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে এভার কেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি করা হয়।
চিকিৎসকের পরামর্শে হাসপাতালে তার করোনা পরীক্ষা করা হলে ফল নেগেটিভ আসে বলে জানান স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি গোলাম সারোয়ার।
এদিকে, বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, শফিউল বারী বাবুর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ ছিল। সোমবার রাতে তাকে হাসপাতালে নেয়া হলে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেল, স্বেচ্ছাসেবক দল সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াসিন আলীসহ অনেকে সেখানে গিয়ে খোঁজখবর নেন। ভোরে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান সাবেক এ ছাত্রনেতা।
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জানাজা শেষে শফিউল বারী বাবুর লাশ তার জন্মস্থান লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে নেয়া হবে। সেখানে বাদ আসর জানাজা শেষে পারিবারিক করবস্থানে দাফন করা হবে।
শফিউল বারী বাবুর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, বরকত উল্লাহ বুলু, মো. শাজাহান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কেন্দ্রীয় নেতা আকন কুদ্দুসুর রহমান, তাইফুল ইসলাম টিপু, বেলাল আহমেদ ও তাবিথ আউয়াল, প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন।
শোকবার্তায় মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির রাজনীতির এক নির্ভীক সৈনিক ছিলেন বাবু। দলের সব ক্রান্তিকালে বাবু দায়িত্ব পালন করতেন অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে। নিপীড়ন-নির্যাতন সহ্য করেও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার সংগ্রামে বাবু থাকতেন সামনের কাতারে। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি আইনের শাসন, মানবিক মর্যাদা, মৌলিক-মানবাধিকারসহ গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করে গেছেন দৃঢ়প্রত্যয় নিয়ে।
বাবুর মৃত্যুতে দেশব্যাপী জেলা, মহানগর এবং এর অধীনস্থ সব থানা, উপজেলা ও পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের কার্যালয়ে মঙ্গলবার দিনব্যাপী খতমে কোরআন ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এদিকে, রাজধানীর মুগদা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোঃ ইসমাইল এবং ১ নং যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ এমাদ উদ্দিন বাবুর মৃত্যুতে এক শোক বার্তায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪৯ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।