স্বাধীন বাংলা রিপোর্ট: ৭৭ বছর বয়সী খালেদা জিয়া আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিসসহ নানা রোগে ভুগছেন। শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পেয়েও করোনারভাইরাসের কারণে কার্যত খালেদা জিয়া তেমন কোন চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারেননি। এদিকে মুক্তির সময়সীমা ঘনিয়ে আসছে। তাই ঈদের পর সরকারের কাছে বেগম জিয়ার মুক্তির সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন করবে পরিবার। পরিবারের আবেদনেই যেহেতু খালেদা জিয়া জামিনে আছেন তাই আবারো সময় বৃদ্ধির আবেদন পরিবারের পক্ষ থেকেই করা হবে। পাশাপাশি বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দানেরও আবেদন করা হবে বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।
সরকারের কাছে সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন করার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। এ জন্য খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থার প্রয়োজনীয় প্রামাণিক কাগজপত্রও চিকিৎসক টিমের কাছে চাওয়া হয়েছে। ঈদের পর সেগুলো সংযুক্ত করে আবেদনপত্র স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হবে।
খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মুক্তির সময়সীমা বাড়ানোর জন্য অবশ্যই তারা আবেদন করবেন। তবে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করানোর বিষয়ে এখনো কোনো আলোচনা হয়নি। এদিকে দলের চেয়ারপারসনের স্থায়ী জামিনের বিষয়ে দলের আইনজীবীরা আদালতের দ্বারস্থ হবেন ঈদের পরে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
বিএনপি নেতারা জানানা, বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করানোর বিষয়টি নিয়ে হইচই করার কিছু নেই। কারণ এর আগেও খালেদা জিয়া সিঙ্গাপুর, লন্ডন এবং আমেরিকায় চিকিৎসা নিয়েছেন। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থার তেমন কোনো উন্নতি না হওয়ায় পরিবারের পক্ষ থেকে বিদেশে নিয়েই চিকিৎসার কথা ভাবা হচ্ছে।
টানা ২৫ মাস কারাভোগের পর গত ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে ৬ মাসের জন্য মুক্তি পান খালেদা জিয়া। শর্ত ছিল, এই সময়ে তিনি বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন, যেতে পারবেন না দেশের বাইরে। কিন্তু খালেদা জিয়া করোনার মধ্যে মুক্তি পাওয়ায়, তার চিকিৎসার বিষয়ে এখনো কোনো কার্যকর উদ্যোগই নিতে পারেনি বিএনপি। রাজধানীর গুলশানের বাসায় একান্ত পরিবেশেই চিকিৎসকের পরামর্শে দিন কাটছে তার।