গাজীপুর প্রতিনিধি: গতকাল বৃহস্পতিবার গাজীপুরের সবগুলো গার্মেন্ট কারখানা ঈদের ছুটি ঘোষণা করায় ¯্রােতের মতো ঈদ উদযাপনে বাড়িতে যেতে রাস্তায় নেমে পড়ে শ্রমিকরা। এতে পরিবহন সংকট দেখা দেয়ায় ট্রা, পিকআপ ভ্যান ও ছোট ছোট যানবাহনে নাড়ির টানে ছুটছে মানুষ। এতে করে সামাজিক দুরত্ব বলতে কিছু থাকছে না।
ঈদের সময় ট্রাক চলাচল নিষিদ্ধ থাকলেও কেউ মানছে না নিষেধাজ্ঞা। স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই মানুষের ঈদ যাত্রায়। যাত্রীবাহী বাসের চেয়ে ট্রাক, পিকআপ ভ্যান আর ছোট যানের দাপট দেখা যাচ্ছে গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায়।
তাছাড়া, যাত্রীবাহী বাসগুলোতে সামাজিক দূরত্ব তো দূরের কথা অনেকটা ঠাসাঠাসি করে দাঁড়িয়ে যাত্রী বহন করতে দেখা গেছে। পুলিশ কোনো যাত্রীবাহী পরিবহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গেলে ওই পরিবহনের পেছনে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। ফলে এক্ষেত্রে পুলিশকে নিরুপায় থাকতে দেখা গেছে।
মানুষের স্রোতের কারণে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা, টঙ্গী স্টেশন রোড, বোর্ড বাজার, গাজীপুরা, তারগাছ, কোনাবাড়ি, কাশিমপুর, মালেকের বাড়ি, বাসন, সালনা, শ্রীপুরের মাওনা ও জৈনাবাজারসহ ব্যস্ততম স্থানগুলোতে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। চান্দনা চৌরাস্তায় বাস ও ট্রাকে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেয়ার অভিযোগ করেছেন কয়েকজন যাত্রী।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, মহাসড়কে যানজট নিরসন এবং আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে চার শতাধিক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পুলিশ যানজট নিরসন এবং পরিবহনের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কাজ করে যাচ্ছে। কোথাও কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া যায়নি।
গাজীপুর জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সুলতান উদ্দিন আহমদ বলেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী গাড়ি চালাতে পরিবহন শ্রমিকদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে সড়কে যাত্রীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় শ্রমিকরা চেষ্টা করেও যাত্রীদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেনি। এজন্য এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।