স্বাধীন বাংলা ডেস্ক: বিশ্বে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে। আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করছে।  প্রতিদিন প্রায় ৩ লাখের মতো করোরভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন। আজ রোববার সকালে ওয়ার্ল্ডোমিটারের দেওয়া তথ্য মতে বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোন আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৮০ লাখের অধিক। শুধু আক্রান্ত বাড়ছে তা নয়, বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। জুন-জুলাইয়ের শুরুতেও বিশ্বে করোনায় দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৫ হাজারের কম। কিন্তু জুলাইয়ের মাঝামাঝি থেকে ধীরে ধীরে এই সংখ্যাটাও বাড়তে শুরু করেছে। ডব্লিউএইচও এর হাতে আসা তথ্য অনুযায়ী এখন প্রতিদিন প্রায় ৭ হাজার করে কোভিড-১৯ রোগী মারা যাচ্ছে বিশ্বজুড়ে।


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, বিভিন্ন দেশে জরি করা লকডাউন শিথিল/উত্তোলন, স্বাস্থ্যবিধি না মানার প্রবণতার কারণেই ভাইরাসটির ব্যাপক বিস্তার লাভ করছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, গত শুক্রবার নতুন করে ২ লাখ ৯২ হাজার রোগী শনাক্ত হয়েছে বিশ্বজুড়ে। ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে প্রত্যেক দেশকে তার নিজের সীমানার মধ্যে আরও কঠোর হয়ে সংক্রমণ রোধে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বলে পরামর্শ দিয়েছে ডব্লিউএইচও।

যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনার সংক্রমণ হু হু করে বাড়ছে জানিয়ে ডব্লিউএইচও বলছে, যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৪৮ লাখ। দেশটিতে কোভিড-১৯ পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত প্রায় ১ লাখ ৫৮ হাজার মানুষ ইতোমধ্যে মারা গেছে। ব্রাজিলে আক্রান্ত ২৭ লাখের বেশি মানুষের মধ্যে ৯৩ হাজার ৬১৬ জন আর বেঁচে নেই। প্রতিবেশী ভারতেও আক্রান্ত সাড়ে ১৭ লাখ; প্রাণহানি ৩৭ হাজার ৪০৩।

ভারতে প্রতিদিনই করোনায় আক্রান্তের নতুন রেকর্ড তৈরি হচ্ছে। টানা কয়েকদিন ধরে দেশটিতে অর্ধ লক্ষাধিক রোগী শনাক্ত হচ্ছে। প্রতিদিন প্রায় আটশো করে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে দেশটিতে। তবে ঊর্ধ্বমুখী এই সংক্রমণের মধ্যে ভাইরাসটির বিস্তার ঠেকাতে জারি জারি বিধিনিষেধগুলো প্রত্যাহার কিংবা শিথিল হচ্ছেই।

যুক্তরাষ্ট্রে কেবল জুলাই মাসেই প্রায় ২৫ হাজার মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। এই সময়ে ১৮ অঙ্গরাজ্যে রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। নতুন করে প্রায় ১৮ লাখ মানুষ শনাক্ত হয়েছেন; যা গত মাসের তুলনায় বেড়েছে ৬৬ শতাংশ। এছাড়া জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মৃতের সংখ্যা ১৯ শতাংশ বেড়েছে।