স্বাধীন বাংলা ডেস্ক: ‘উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে চিহ্নিত করে বাংলাদেশসহ ৩১টি দেশের মানুষকে কুয়েত ঢোকতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দেশটির সরকার। কুয়েতের বেসামরিক বিমান পরিবহন অধিদফতর এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগের সিদ্ধান্ত মোতাবেক এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে কুয়েতের বেসামরিক বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালক বিবৃতিতে বলেছেন। তিনি জানান, এসব দেশের নাগরিকরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কুয়েতে প্রবেশ করতে পারবে না।
বাংলাদেশ ছাড়া ওই তালিকায় অন্যান্য যেসব রাষ্ট্র রয়েছে সেগুলো হলো- ভারত, ইরান, চীন, ব্রাজিল, কলম্বিয়া, আর্মেনিয়া, ফিলিপিন্স, সিরিয়া, স্পেন, সিঙ্গাপুর, বসনিয়া ও হার্জগোভিনা, শ্রীলংকা, নেপাল, ইরাক, ম্যাক্সিকো, ইন্দোনেশিয়া, চিলি, পাকিস্তান, মিশর, লেবানন, হংকং, ইতালি, উত্তর ম্যাসেডোনিয়া, মালদোভা, পানামা, পেরু, সার্বিয়া, মন্টেনেগ্রো, ডোমেনিয়ান রিপাবলিক ও কসোভোর নামও রয়েছে এই তালিকায়।
এর বাহিতের অন্যান্য দেশের মানুষের ক্ষেত্রে কোন নিষেধাজ্ঞা না থাকলেও ভ্রমণের আগে ১৪ দিনের মধ্যে যেসব যাত্রী এই দেশগুলোতে ছিলেন, তাদেরকেও এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে।
. . . করোনা মহামারীর প্রভাবে বাংলাদেশে ছুটিতে আসা বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি আর ফিরে যেতে পারেননি কুয়েতে নিজেদের কর্মক্ষেত্রে। অনেকের ভিসার মেয়াদ শেষ পর্যায়ে আছে। সাড়ে ৩ মাস বন্ধ থাকার পর আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল শুরুর প্রেক্ষিতে আসার আলো দেখছিলো প্রবাসী বাংলাদেশিরা। কিন্তু এরইমধ্যেই এই নতুন সিদ্ধান্ত জারি করলো কুয়েত।
কুয়েতে কর্মরত বিদেশিদের জন্য নতুন আইন তৈরি করছে দেশটির সরকার। নতুন আইন অনুযায়ী, কুয়েতে সংস্থাগুলোয় কত সংখ্যক বিদেশি নাগরিককে চাকরি দেয়া যাবে, তার নির্দিষ্ট সংখ্যা বেঁধে দেয়া হবে। কুয়েতের নাগরিক ও বিদেশিদের মধ্যে ভারসাম্য রাখতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কুয়েতের সরকার।
এক্ষেত্রে কুয়েতে কর্মরত ভারতীয়দের সংখ্যা ১৫ শতাংশে বেঁধে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আর শ্রীলঙ্কা, ফিলিপাইনের মতো দেশগুলোর জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। আর পাকিস্তান, বাংলাদেশ, নেপাল, ভিয়েতনামের নাগরিকদের জন্য ৫ শতাংশ সংরক্ষণ করা হয়েছে। নিউজ এইট্টিন।