স্বাধীন বাংলা ডেস্ক : জিনেদিন জিদান মূল দলের কোচ হয়েছেন সেই ২০১৬ সালে। একে একে কেটে গেছে চার বছর। কোচিং করার সুফল-কুফল সবই বোঝা হয়ে গেছে জিনেদিন জিদানের। নিজ পেশার আগপাশতলা দেখে নিয়েছেন।
সাফল্যও যেমন পেয়েছেন, সঙ্গী হয়েছে ব্যর্থতাও। এত উত্থান-পতনের পরেও এক সাফল্য এই চার বছরের প্রতি মুহূর্তে জিদানকে সঙ্গ দিয়েছিল। সেটাও ছেড়ে চলে গেল গত রাতে।
জিনেদিন জিদান এর আগে কখনো চ্যাম্পিয়নস লিগের নকআউট রাউন্ডে বাদ পড়েননি। যে কয়বার দলকে নিয়ে গেছেন চ্যাম্পিয়নস লিগে, প্রত্যেকবারেই শিরোপা জিতে ফিরেছেন। এবার আর সেটা হলো না।
ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে রিয়াল মাদ্রিদের পরাজয় থামিয়ে দিল এক অদম্য যাত্রাকে। অনুচ্চারে জানিয়ে দিল, কোচ জিদানও বাদ পড়তে পারেন চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে।
গতবারও আয়াক্সের বিপক্ষে হেরে দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে বিদায় নিয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। সে গ্লানি জিদানের সঙ্গী হয়নি, কেননা ওই এক বছরই রিয়ালের কোচ ছিলেন না এই ফরাসি তারকা। সান্তিয়াগো সোলারি ও হুলেন লোপেতেগিতে চড়ে দ্বিতীয় রাউন্ডের বৈতরণি পার হওয়া হয়নি রিয়ালের।
লোপেতেগি-সোলারি যুগ শেষ, রিয়ালের ডাগআউটে আবারও ফিরেছেন জিদান। তাই গত বছরের ভাগ্য বদলাতে পারেননি। শুধু আয়াক্সের জায়গায় এবার রিয়াল-হন্তারকের ভূমিকা নিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি।
এই বিদায়ের আগে নয় নকআউট রাউন্ডে রিয়ালকে জিতিয়েছিলেন জিদান। জিতেছিলেন টানা তিন ফাইনাল। একে একে নকআউট রাউন্ডে রিয়ালের কাছে বশ মেনেছিল ভলফসবুর্গ, এএস রোমা, ম্যানচেস্টার সিটি, নাপোলি, বায়ার্ন মিউনিখ (দুইবার), অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ, পিএসজি, জুভেন্টাস, লিভারপুল-সবাই। বশ মানা সে দলগুলোর একটার কাছে এবার উল্টো রিয়াল হার মানল। পেপ গার্দিওলা সবাইকে দেখিয়ে দিলেন, নকআউট রাউন্ড থেকে কীভাবে জিদানের দলকে বাদ দেওয়া যায়।
২০০৮-০৯ মৌসুমের পর এই প্রথম রিয়ালকে নকআউট পর্বের দুই লেগেই হারিয়ে দিল কোনো দল। আগের রেকর্ডটাও এক ইংলিশ ক্লাবেরই ছিল। সেবার দ্বিতীয় রাউন্ডে দুই লেগ মিলিয়ে রিয়ালকে পাঁচ গোল দিয়েছিল লিভারপুল, রিয়াল কোনো গোলই দিতে পারেনি। দুটো লেগেই হেরেছিল। এবার দুই লেগ মিলিয়ে সিটির বিপক্ষে রিয়াল দুই গোল দিলেও খেয়েছে চার গোল।