স্বাধীন বাংলা রিপোর্টার : নির্মাণ খাত, কৃষি খাত ও বৃক্ষরোপণ খাতে বিদেশি শ্রমিক নিয়োগ করবে মালয়েশিয়া। এসব খাতে প্রচুর শ্রমিকের চাহিদা রয়েছে। অন্যান্য খাতে স্থানীয়দের নিয়োগ দেয়া হবে। গত ৩০ জুলাই মালয়েশিয়ার উপ-মানবসম্পদ মন্ত্রী আভাং হাশিম এক সংবাদ সম্মেলনে এ আভাস দিয়েছিলেন সংবাদ মাধ্যমগুলোকে।
বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রমবাজার মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠানো বন্ধ রয়েছে দীর্ঘ দিন ধরে। এই অবস্থায় কন্সট্রাকশন, বৃক্ষরোপণ ও কৃষিখাতে বিদেশী শ্রমিক নিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে মালয়েশিয়া সরকার।
মালয়েশিয়ার উপ-মানবসম্পদ মন্ত্রী আভাং হাশিম বলেন, এখন বিদেশি কর্মী নিয়োগ বন্ধ আছে। সরকার পরের বছর নির্মাণ, কৃষি ও বৃক্ষরোপণ খাতে বিদেশী কর্মী নিয়োগের অনুমতি দেয়ার বিষয়ে বিবেচনা করবে।
বিদেশী কর্মীর সংখ্যা হ্রাস করতে সরকারের গৃহীত উদ্যোগ সম্পর্কে ২৯ জুলাই লুবোক আন্টুর পার্লামেন্ট সদস্য (এমপি) জুগাহ মুয়াংয়ের প্রশ্নের উত্তরে তিনি (মন্ত্রী) বলেছিলেন, বিদেশি কর্মীদের উপর নির্ভরতা কমাতে সরকার এর আগে এই পদক্ষেপের কথা জানিয়েছিল। বর্তমানে মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধিত দুই মিলিয়নেরও বেশি-বিদেশি কর্মচারী রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশী কর্মী পাঠানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা (এসপিপিএ) দেয় দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এরপর থেকেই বৈধভাবে আর কোনো শ্রমিকই যেতে পারেনি দেশটিতে। তারপরও দেশটির সরকারের সাথে কূটনৈতিকভাবে যোগাযোগ স্থাপন করে স্থগিত থাকা শ্রমবাজার পুনরায় খোলার বিষয়ে জোর তৎপরতা শুরু হয়।
এ অবস্থায় মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী কুলসেগারান এমওইউ চুক্তি করার লক্ষ্যে ঢাকায় আসেন। এরই মধ্যে তার দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা শুরু হলে তিনি ঢাকায় কোনো চুক্তি না করেই দেশে ফিরে যান। দেশে ফিরেই তিনি মন্ত্রিত্ব হারান। এরপর গঠিত হয় মালয়েশিয়ায় নতুন সরকার।
এই অস্থিরতার মধ্যেই আবার বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হয়। মালয়েশিয়া সরকার কঠোর লকডাউন মানার কারণে করোনার প্রাদুর্ভাব কমতে থাকে। এরপরই গত ৩০ জুলাই দেশটির উপ মানবসম্পদ মন্ত্রী ৩ খাতে বিদেশী শ্রমিক নিয়োগের ইঙ্গিত দেন।
মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (কেডিএন) সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসী কী পরিমাণ রয়েছে তার সঠিক পরিসংখ্যান সরকারের কাছে নেই। তবে অভিবাসন বিভাগের অধীনে ডিটেনশন ক্যাম্পে ১৫ হাজার ৫৩১ জন অবৈধ অভিবাসী আটক রয়েছেন।