ক্রীড়া ডেস্ক : সাকিব আল হাসানের এক বছরের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ২৯ অক্টোবর। এরপরই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন তিনি। এরইমধ্যে শোনা যাচ্ছে, সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরে প্রস্তুতি শুরু করবেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। অনুশীলনের জন্য নিজের শৈশবের বিদ্যাপীঠ সাভারের বিকেএসপিতে আসার পরিকল্পনা করেছেন সাকিব।
এদিকে অক্টোবরেই বাংলাদেশ দলের শ্রীলঙ্কা সফর। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তিনটি ম্যাচ খেলতে টাইগাররা যাবে দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কায়। ২৪ অক্টোবর প্রথম ম্যাচ হওয়ার কথা রয়েছে। টেস্ট সিরিজের পর দুই দল তিনটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে। তবে সূচি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। সুতরাং, সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে শ্রীলঙ্কা সফরেই টি-টোয়েন্টি দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কামব্যাক করতে যাচ্ছেন সাকিব আল হাসান।
তবে নিষেধাজ্ঞায় থাকা ক্রিকেটার শাস্তি ভোগের পরপরই দলে আসতে পারবে কি না তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে বিসিবিতে। বোর্ডের শীর্ষ পরিচালক ও কর্মকর্তাদের জানা নেই কোন প্রক্রিয়ায় সাকিবকে দলে ঢোকানো যাবে কিনা কিংবা খেলার জন্য প্রস্তুত করতে কোন পরিকল্পনায় এগিয়ে যাবে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগ।
কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর বার্তা পরিস্কার। শতভাগ ফিট, ম্যাচ খেলার জন্য উপযোগী প্রস্তুতি এবং আইসিসির গাইডলাইন মেনে সাকিবকে দলে দেখতে চান। তিনি বলেন, সাকিবের ফেরা নির্ভর করছে তার ফিটনেস লেভেলের ওপর এবং সম্ভবত তার অধীনে কিছু ম্যাচ সময় অতিবাহিত করতে হবে। শুধু তাই নয়, ডোমিঙ্গো সাকিবের এক বছরের গ্যাপটাকেও বিবেচনায় আনতে চাচ্ছেন। কারণ, এই এক বছরে বর্তমান স্কোয়াডের সদস্যদের সঙ্গে সাকিবের কি পার্থক্য তৈরি হয়েছে, সেটাই দেখার বিষয়। যদিও এর মধ্যে করোনা মহামারির পেটে চলে গেছে প্রায় ৬টি মাস। সুতরাং, অন্যদের সঙ্গে সাকিবের খুব একটা পার্থক্য হওয়ার কথা নয়।