সিলেট প্রতিনিধি:
মহামারী করোনার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে গত ১৯ মার্চ সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় সরকার। এরপর থেকে অলস সময় পার করছিলেন ব্যবসায়ীরা। কর্মহীন হয়ে পড়েছিলেন এ বন্দরের কয়েক সহস্রাধিক শ্রমিক। তবে সোমবার থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে বন্দরের পণ্য আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম। এতে প্রাণ ফিরেছে বন্দরের।

সোমবার বেলা ১২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় কার্যক্রম। বিকেল পর্যন্ত ৩ট ভারত থেকে তিনটি পাথরবাহী এবং ১টি ফলবাহী ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করে। তবে বাংলাদেশ থেকে কোন পণ্যবাহী ট্রাক ভারতে যায়নি। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল থেকে পুরোদমে আমদানি রফতানি কার্যক্রম শুরু হবে।

তামাবিল স্থল বন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. সজিব মিয়া বন্দর দিয়ে আমদানি রপ্তানি শুরুর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, প্রায় ৫ মাস পর বন্দর দিয়ে আমদানি রপ্তানি শুরু হয়েছে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে সতর্কতা হিসেবে স্থল বন্দর প্রশাসনের উদ্যোগে এবং ব্যবসায়ী সংগঠনের সহযোগিতায় পণ্য নিয়ে আসা ভারতীয় প্রতিটি ট্রাকে জীবানুনাশক ছেটানো হচ্ছে। এছাড়া ভারত থেকে পণ্য নিয়ে আসা ট্রাক চালকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরই ইমিগ্রেশন ছাড়পত্র দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করানো হচ্ছে।

তামাবিল চুনাপাথর, পাথর ও কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার হোসেন সেদু জানান, ‘৫ মাস আমদানি রফতানি বন্ধ থাকার কারণে ব্যবসায়ীরা বেশ বড় ধরণের ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছেন। কর্মহীন হয়েছেন কয়েক হাজার শ্রমিকও। একই সাথে সরকার পাঁচ মাসে প্রায় ৩৫ কোটি টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিতও হয়েছে।’

আমদানি রপ্তাহি শুরু হওয়াতে বন্দরে প্রাণ ফিরেছে বলেও জানান তিনি।