ক্রীড়া ডেস্ক : আক্রমণাত্মক ফুটবলে লড়াই করল অলিম্পিক লিওঁ। একের পর এক আক্রমণ করে কাঁপিয়ে দিয়েছিল টুর্নামেন্টের হট ফেভারিট বায়ার্ন মিউনিখকে। তবে ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় তাদের কপালে জুটল শুধুই হতাশা। ধীরে ধীরে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ফের অনবদ্য এক ম্যাচ উপহার দিল হ্যান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা। সেমিফাইনালে লিঁওকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ৭ বছর পর ফাইনাল নিশ্চিত করে বায়ার্ন।
বায়ার্নের হয়ে প্রথমার্ধে জোড়া গোল করেছেন সার্জি জিনাব্রি। দ্বিতীয়ার্ধে অপর গোলটি করেছেন রবার্ত লেভানডোফস্কি।
বার্সেলোনার বিপক্ষে যে বিধ্বংসী বায়ার্ন মিউনিখকে দেখা গিয়েছিল, লিঁওর বিপক্ষে তেমনটি দেখা যায়নি। ম্যাচটি লিঁও জমিয়ে তুলতে পারতো যদি সহজ সুযোগগুলো নষ্ট না করতো।
পর্তুগালের লিসবনে এক লেগের সেমিফাইনালে ম্যাচের শুরু থেকে আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকে বায়ার্ন। হ্যান্স ফ্লিকের শিষ্যরা এগিয়েও যায় ১৮তম মিনিটে। জশুয়া কিমিচের লং পাস থেকে বল পেয়ে রাইট-উইং ধরে ক্ষিপ্র গতিতে এগিয়ে যান নাব্রি। এরপর লিঁওর রক্ষণভাগকে তছনছ করে নেন জোরালো শট। গোলরক্ষক অ্যান্থনি লোপেজকে ফাঁকি দিয়ে বল জড়িয়ে যায় জালে।
৩৩ মিনিটের মাথায় লেভানডোফস্কির নেওয়া শট গোললাইন থেকে ফিরিয়ে দেন লিঁওর গোলরক্ষক অ্যান্থনি লোপেস। কিন্তু বল চলে যায় সামনে থাকা জিনাব্রির কাছে। এবারও বাম পায়ের শটে নিশানা ভেদ করেন এই জার্মান ফুটবলার। এটা ছিল চ্যাম্পিয়নস লিগের চলতি মৌসুমে ৯ ম্যাচে তার নবম গোল।
বিরতির পর নতুন উদ্যমে মাঠে নামে লিওঁ। বেশ কয়েকটি ভালো আক্রমণ করে তারা; কিন্তু সুযোগ নষ্টের ভিড়ে হতাশাই বেড়েছে শুধু। ৫৮তম মিনিটে ডি-বক্সে ফাঁকায় বল পেয়েও ব্যর্থ তোকো একাম্বি, সঠিক সময়ে এগিয়ে গিয়ে তার শট পা দিয়ে রুখে দেন নয়ার।
৮৮তম মিনিটে সব অনিশ্চয়তার ইতি টেনে দেন লেভানদোভস্কি। সবার ওপরে লাফিয়ে দারুণ এক হেডে কাছের পোস্ট ঘেঁষে আসরে নিজের ১৫তম গোলটি করেন তিনি। মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলে পোলিশ স্ট্রাইকারের মোট গোল হলো ৫৫টি।
আগামী রোববার ফাইনালে ফ্রান্সের ক্লাব প্যারিস সেইন্ট জার্মেই-পিএসজির মুখোমুখি হবে বাভারিয়ানরা।