স্বাধীন বাংলা রিপোর্ট: বাংলাদেশে কখন কি ঘটে বলা যায় না মন্তব্য করে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, চিরকাল কেউ ক্ষমতায় থাকে না। আমরা চিরজীবন ক্ষমতায় থাকব এটা প্রধানমন্ত্রীও ভাবেন না। আমরাও ভাবি না। এসময়, নেতাকর্মীদের দাপট না দেখাতে নির্দেশ দেন ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বাচিপ বিএসএমএমইউ শাখার আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. আবু নাসার রিজবী।
এছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য অধ্যাপক ডাক্তার কনক কান্তি বড়ুয়া ও স্বাচিপের কেন্দ্রীয় সভাপতি ডা. ইকবাল আর্সলান এবং সাধারণ সম্পাদক ডা. এমএ আজিজ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, চিরকাল কেউ ক্ষমতায় থাকে না। চোখের পলকে বাংলাদেশে ১৫ আগস্ট ঘটে গেছে। হঠাৎ করে ২১ আগস্ট। ক্ষমতায় থেকে যে যেখানে আছেন ক্ষমতার দাপট দেখাবেন না। মনে রাখবেন, দলে যদি ঐক্যকে গুরুত্ব না দেন, নিজেদের মধ্যে কলহ-কন্দোল থাকে তাহলে দুঃসময়ে প্রতিপক্ষ কোন্দলের ওপর আঘাত হানবে। এ দেশে কখন কী ঘটে বলা যায় না।
যে বুলেট শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে এতিম করেছে সেই বুলেট খালেদা জিয়াকে বিধবা করেছে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, হত্যা হত্যাকে ডেকে আনে। জিয়াউর রহমান যদি বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত না থাকতেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করতেন- তাহলে আরেকটি খুনিচক্র জিয়াউর রহমানকে হত্যা করতে পারত না বলে আমার বিশ্বাস।
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের যে পুরস্কৃত করেন, হত্যার বিচার হবে না- এই ইডেমনিটি সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীতে অন্তর্ভুক্ত করেন তাকে বলে বহু দলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা। তারপর আবার ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডের কথা তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা বিচারবহির্ভূত হত্যার কথা বলেন তারা যেন নিজেদের চেহারা আয়নায় দেখে নেন।