ক্রীড়া ডেস্ক : আগামী ৩১ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্র থেকে ঢাকায় ফিরছেন সাকিব আল হাসান। ঢাকায় এসে করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ হলে অনুশীলনের জন্য সরাসরি বিকেএসপিতে চলে যাবেন তিনি।
আগামী ২৯ অক্টোবর আইসিসির নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি মিলবে সাকিবের। ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়ে আইসিসিকে না জানানোর কারণে সাকিবকে এক বছরের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। নিষেধাজ্ঞা শেষ হতেই ক্রিকেটে ফেরার পরিকল্পনা সাকিবের।
দেশে করোনার প্রকোপ শুরু হওয়ার আগে যুক্তরাষ্ট্রে যান সাকিব। যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিনের একটি হোটেলে ১৪ দিনের আইসোলেশন শেষে সাকিব পরিবারের কাছে যান। সাকিব ও উম্মে আহমেদ শিশির আহমেদের ঘর আলো করে গত ২৪ এপ্রিল এসেছে দ্বিতীয় কন্যা সন্তান। এর আগে তারকা দম্পতির কোলজুড়ে ২০১৫ সালের ৯ নভেম্বর আসে অব্রি।
নিষেধাজ্ঞা শেষেই মাঠে ফিরতে মুখিয়ে সাকিব। এজন্য নিজ উদ্যোগে অনুশীলনের ব্যবস্থা করেছেন। এজন্য নিজের বিদ্যাপিঠ বিকেএসপিকে বেছে নিয়েছেন। বিকেএসপিতে সাকিবের আবাসিক ক্যাম্প হবে। সেখানে তাকে ট্রেনিং করাবেন তার শৈশবের কোচ নাজমুল আবেদীন ফাহিম ও মোহাম্মদ সালাউদ্দীন।
নাজমুল আবেদীন ফাহিম বলেন, সাকিব সোমবার ঢাকায় আসছে। বিকেএসপিতে ট্রেনিংয়ে যোগ দেওয়ার আগে তার করোনা টেস্ট ও আইসোলেশনে থাকতে হবে। এরপর বিকেএসপিতে অনুশীলন শুরু করবে।
বিসিবির কোনো সুযোগ-সুবিধা সাকিব ব্যবহার করতে পারবেন না। তবে জাতীয় দলের কোচরা তাকে একাকী ট্রেনিং করাতে পারবেন। সেটাও হতে হবে ক্রিকেট বোর্ডের সুযোগ-সুবিধার বাইরে।
এদিকে, অক্টোবরে শ্রীলঙ্কা সফরে তিন টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। ২৪ অক্টোবর দুই দলের টেস্ট সিরিজ শুরু হবে। দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট খেলার সুযোগ আছে সাকিবের। এ ক্রিকেটারকে শেষ দুই টেস্টে দলে পাওয়ার প্রত্যাশায় বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।