রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি:
শিক্ষা, কর্মসংস্থান, সাংস্কৃতিক, সচেতনামূলক কার্যক্রমসহ বিভিন্ন খাত চিহ্নিত করে বাস্তবায়নের জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক উপজেলার বাৎসরিক বাজেটের ৩% পর্যন্ত বরাদ্দ এবং উপজেলা ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক গৃহীত প্রকল্প সমূহের ২৫% নারী সদস্যদের নেতৃত্বে বাস্তবায়নের দাবিতে রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে স্মারকলিপি প্রদান করেছে নারী উন্নয়ন ফোরাম রাঙ্গামাটি জেলা শাখা।

মঙ্গলবার বেলা ১২ রাঙামাটি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে ইউএনও ফাতেমা-তুজ-জোহরা সাথে সাক্ষাৎ করে এই স্মারকলিপি প্রদান করে নারী উন্নয়ন ফোরামের রাঙ্গামাটি জেলা শাখার সভাপতি ও সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন ইসলামসহ সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা।

উপজেলা গভারমেন্ট প্রজেক্ট কর্তৃক ২০১৩ সালে পদাধিকার বলে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কে সভাপতি করে ইউপি নারী সদস্য, নারী কাউন্সিলর ও জেলা পরিষদ নারী সদস্য কর্তৃক নারী উন্নয়ন ফোরাম গঠিত হয়।তবে কোন উপজেলা চেয়ারম্যান নারী হলে সে উপজেলায় তিনি হবেন সভাপতি। সে অনুযায়ী শিক্ষা কর্মসংস্থান, সাংস্কৃতিক, সচেতনামূলক কার্যক্রমসহ বিভিন্ন খাত চিহ্নিত করে উহা বাস্তবায়নের জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক উপজেলার বাৎসরিক বাজেটের ৩% পর্যন্ত বরাদ্দ এবং পরিষদ গৃহীত প্রকল্প সমূহের ২৫% নারী সদস্যদের মাধ্যমে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ৩১শে মে ২০১৫ পরিপত্র জারি হয়।তৎসঙ্গে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ কর্তৃক ১৩ জুলাই ২০১৬ সালে ২৫৪(০৫) নং স্মারকের ধারাবাহিকতায় "নারী উন্নয়ন ফোরামকে শিল্প-বাণিজ্য কাজে যুক্তকরণ প্রকল্প" সৃজন হয় এবং উহা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে প্রতীয়মান হয় যে, পরিপত্র সঠিকভাবে বাস্তবায়ন না থাকায় ফোরামের কার্যক্রম প্রায় বিলুপ্ত হতে বসেছে। তাই ২০২০ সালে মিঠামইন উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আছিয়া আলম (মহামান্য রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের ছোটবোন)কে আহ্বায়ক করে নারী উন্নয়ন ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন হয়। সে অনুযায়ী চীফ কো-অর্ডিনেটর, আঞ্চলিক কো-অর্ডিনেটর, উপজেলা কো-অর্ডিনেটর পদে সৃষ্টির মাধ্যমে নারী উন্নয়ন ফোরাম সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয়া হয়। দেশের অর্ধেকেরও বেশি নারী।এই জনগোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে দেশে উন্নয়ন সম্ভব নয়। নারী উন্নয়নে আইন আছে কিন্তু মান্য নাই। তাই  সকল উপজেলা পরিপত্র ৩% পর্যন্ত বরাদ্দ এবং উপজেলা ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক গৃহীত প্রকল্প সমূহের ২৫% নারী সদস্যদের নেতৃত্বে বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয় স্মারকলিপির মাধ্যমে।