স্বাধীন বাংলা ডেস্ক : গণধর্ষণের শিকার এক নারীর পক্ষে না দাঁড়িয়ে ভুক্তভোগীকেই দায়ী করেছে পাকিস্তান পুলিশ। লাহোরে নিজের সন্তানের সামনেই পাশবিক অত্যাচারের শিকার হন ওই নারী।

পুলিশের অভিযোগ, ওই মহিলার রাত দেড়টার সময় একা বের হওয়া উচিৎ হয়নি। এতে পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ঝাড়ে দেশের মানুষ। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

নির্যাতিতা নারী জানিয়েছেন, তিনি গাড়ি করে ফিরছিলেন। পথেই গাড়ির তেল ফুরিয়ে যায়। তাই তিনি পুলিশের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই গাড়ির কাঁচ ভেঙে তাকে বের করে আনে দুই দুষ্কৃতকারী।

তারপর বাকিরাও তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে অত্যাচার চালায়। মায়ের ওপর এই আক্রমণ দেখে ভয়ে কুঁকড়ে যায় গাড়িতে থাকা তাঁর দুই সন্তান।

পুলিশের তদন্তকারী অফিসার ওমর শেখ বলেন, একজন মহিলার জানা উচিৎ অতো রাতে রাস্তায় বেরোনো ঠিক নয়। পাকিস্তানের সমাজ তাদের মা-বোনেদের রাতের বেলা একা রাস্তায় বেরোনো সমর্থন করে না।

তিনি বলেন, ওই মহিলার উচিৎ ছিল বাইরে বেরোনোর আগে দেখে নেয়া গাড়িতে পর্যাপ্ত তেল আছে কিনা। নির্যাতিতা ফ্রান্সের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। যে মহিলারা অভিযোগ জানাতে যান তাদেরকেই নানা প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় । যা সমর্থনযোগ্য নয় বলে মনে করেন দেশের মানবাধিকার মন্ত্রী শিরিন মানজারি।

প্রসঙ্গত, এই ঘটনার একদিন আগেই করাচিতে পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয় । পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান টুইটারে জানিয়েছেন, তিনি পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন। দ্রুত অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে যাতে কড়া শাস্তি দেয়া যায় সেই নির্দেশ দেয়া হয়েছে পুলিশকে।

স্বাধীন বাংলা/জ উ আহমাদ