লাইফস্টাইল ডেস্ক : মহামারি নভেল করোভাইরাসে বিপর্যস্ত বিশ্বাবাসী। অদৃশ্য এই ভাইরাসে প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। প্রাণঘাতী ভাইরাস মোকাবিলায় এখনও আবিষ্কার হয়নি কোন ওষুধ। দেশে দেশে চলছে ভ্যাকসিন তৈরির যুদ্ধ। কবে বাজারে আসবে ভ্যাকসিন তা কেউ বলতে পারছেন না।
তাই টিকা আবিষ্কারের অপেক্ষায় না থেকে আমাদের সর্তক থাকবে হবে। বাড়াতে হবে শরীরের ইমিউনিটি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। সেজন্য করোনা শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত আমরা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর উপায় সম্পর্কেই আলোচনা করছি বা জানার চেষ্টা করছি। কিন্তু অনেকেই মনের অজান্তে এমন খাবার খাই যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। জেনে নিন কোন কোন খাবার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়:-
ফাস্ট ফুড : খুব কম মানুষই আছে যারা ফাস্ট ফুড খান না। কিন্তু এই ফাস্ট ফুড যে হুমকিস্বরূপ সেটা কি একবার ও ভেবে দেখেছি আমরা? ফাস্ট ফুডে প্রচুর পরিমাণে চিনি ও লবণ থাকে এবং খুব কম আঁশ থাকে। ফলে এই খাবারগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি থাকে, যা আমাদেরকে মুটিয়ে যাওয়ার দিকে ঠেলে দেয়। আমরা জানি ওবেসিটি বা স্থুলতা হলো অনেক রোগের প্রধান কারণ। সুতরাং ফাস্ট ফুড খাওয়ার ফলে আপনি যত বেশি মুটিয়ে যাবেন তত বেশি রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত ফাস্ট ফুড খাওয়ার ফলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য যে প্রতিবর্ত প্রক্রিয়া সেটির ধরণ পাল্টে যায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।
ক্যাফেইন : আমরা অনেকেই প্রতিদিন চা অথবা কফি খাই এবং এটাও সবাই জানি যে এগুলোতে ক্যাফেইন পাওয়া যায়। গবেষণায় দেখা গেছে, অতিরিক্তি ক্যাফেইন পান করলে দেহে টি-সেল ও ইন্টারলিউকিন এর উৎপাদন কমে যায়। অর্থাৎ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।
অ্যালকোহলজাতীয় পানীয় : অ্যালকোহল সমৃদ্ধ পানীয় পানে ম্যাক্রোফেজ, ইমিউনোগ্লোবিউলিন ও সাইটোকাইন এর কার্যক্ষমতা কমে যায়। এই উপাদানই দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু যখন এগুলোর কার্যক্ষমতা কমে যাবে তখন খুব সহজেই দেহ ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগে আক্রান্ত হবে।
টেস্টিং সল্ট : বর্তমান সময়ে প্রক্রিয়াজাত খাবারের প্রতি মানুষের আগ্রহ বেড়েছে বহুগুণ। প্রায় প্রত্যেক পরিবারেই কোন না কোন ধরনের রেডি টু ইট খাবার খাওয়া হচ্ছে নিয়মিতই। এই প্রক্রিয়াজাত খাবারগুলোতে হরহামেশাই ব্যবহৃত হচ্ছে টেস্টিং সল্ট। গবেষণায় দেখা গেছে, টেস্টিং সল্ট থাইমাস ও স্পিøন এর ক্রিয়াকলাপ কমিয়ে দেয় ফলে টি-সেল ও বি-সেল এর উৎপাদন কমে যায়। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়। এ ছাড়া এই টেস্টিং সল্ট ইন্টারলিউকিন এর উৎপাদন ও কমিয়ে দেয় এবং রোগাক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।
চিনি সমৃদ্ধ খাবার : আমাদের প্রতিদিনকার খাদ্য তালিকায় থাকা বেশিরভাগ খাবারই চিনি সমৃদ্ধ। চিনি হচ্ছে ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসের জন্য সবচেয়ে উপাদেয় খাদ্য। তাই আমরা যত বেশি চিনি সমৃদ্ধ খাবার খাব ততবেশি ক্ষতিকর ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া আমাদের দেহে জন্ম নেবে এবং আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেবে।