স্বাধীন বাংলা ডেস্ক : চীনের উহানে গত বছরের ডিসেম্বরে প্রথম ধরা পড়ে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। উহানের ল্যাব থেকে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে বলে শুরু থেকেই অভিযোগ করে আসছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ।

শুরু থেকেই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে চীন। এবার উহানের ল্যাব থেকেই করোনা ছড়ানোর দাবিকে আরো জোরালো করলেন উহানের ল্যাবের এক ভাইরোলজিস্ট। তার নাম লি মেং ইয়ান।

ব্রিটিশ এক টক শোতে তিনি দাবি করেন, চীনের ল্যাবেই তৈরি করা হয়েছে করোনাভাইরাস। এটি মানুষের তৈরি বলে তার কাছে শতভাগ প্রমাণ আছে। তিনি তা প্রকাশ করবেন বলেও জানিয়েছেন।

ব্রিটিশ ডেইলি মিররের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, হংকংয়ে জন্ম নেওয়া ভাইরোলজিস্ট লি মেং ইয়ান পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে। বছরের শুরুতে তাকে চীন হত্যা করতে চেয়েছিল বলে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে যান।

চীন দাবি করে আসছিল, উহানের স্থানীয় একটি বাজার থেকে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু সেকথা অস্বীকার করে লি মেং ইয়ান দাবি করেন, উহানের সি ফুড মার্কেট থেকে এই ভাইরাসের উৎপত্তি হয়নি। এই ভাইরাস চীনের ল্যাবেই তৈরি করা হয়েছে। এই ভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্স মানুষের আঙুলের মুদ্রণের মতো। এর দ্বারাও প্রমাণিত হয় এটি মানবসৃষ্ট ভাইরাস।

তিনি বলেন, আমি এই প্রমাণ ব্যবহার করে মানুষকে জানিয়ে দেব কেন চীনের ল্যাবে এই ভাইরাস তৈরি হয়েছে এবং কেন তারা এটি তৈরি করেছে। জীববিজ্ঞানের জ্ঞান না থাকলেও যে কেউ তা পড়তে পারবে এবং নিজেই তা যাচাই করতে পারবে।

লি মেং ইয়ান এর আগে দাবি করেছেন, করোনা সংক্রমণ নিয়ে মিথ্যা বলেছে চীন। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার কথা অনেক আগে জানতে পেরেও রোগটির বিষয়ে সঠিক তথ্য গোপন রাখা হয়।

এই ভাইরোলজিস্ট জানান, চীনের পূর্বাঞ্চলে গত বছরের শেষ দিকে নিউমোনিয়ার মতো এই রোগ প্রথমদিকে গবেষণাকারীদের একজন ছিলেন তিনি। কিন্তু যখন রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে তখন তাকে নীরব ও সতর্ক থাকতে বলা হয়। তার সুপারভাইজার তাকে বলেন, আমরা সমস্যায় পড়ব এবং গুম হয়ে যাব।

স্বাধীন বাংলা/জ উ আহমাদ