স্বাধীন বাংলা ডেস্ক : নিউ ইয়র্কে আজ জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন শুরু হচ্ছে। করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে এবারের অধিবেশন হবে প্রধানত ভার্চুয়াল। জাতিসঙ্ঘের ৭৫তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এই অধিবেশনে বিশেষ আয়োজন রাখা হয়েছে।

সাধারণ অধিবেশনকে ঘিরে বিশ্ব নেতারা নিউ ইয়র্কে একত্রিত হন। এ সময় চলমান বিভিন্ন ইস্যুতে বক্তব্য রাখার পাশাপাশি তারা অধিবেশনের সাইডলাইনে নিজেদের মধ্যে বৈঠক ও মতবিনিময় করেন। রেওয়াজ অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নৈশভোজের আমন্ত্রণ জানান বিশ্বনেতাদের।

গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে আলোচনার পাশাপাশি একটি উৎসবমুখর পরিবেশ উপভোগ করেন বিশ্বনেতারা। বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও বহুপক্ষীয় ইস্যুগুলো এগিয়ে নিতে নিউ ইয়র্কে একত্রিত হওয়ার সুযোগকে কাজে লাগান।

কিন্তু এবার সম্পূর্ণ ভিন্ন উপায়ে জাতিসঙ্ঘ সাধারণ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কেবলমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডেনাল্ড ট্রাম্প সশরীরে উপস্থিত থেকে অধিবেশনে বক্তব্য রাখার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনসহ অন্যান্য রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা ভার্চুয়ালি এ অধিবেশনে যোগ দেয়ার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন।

১৯৩টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা অধিবেশনে যোগ দেবেন। এই প্রথমবারের মতো জাতিসঙ্ঘ সাধারণ অধিবেশন ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিশ্ব নেতাদের আগে থেকে রেকর্ড করা বক্তব্য অধিবেশনে প্রচার করা হবে।

উচ্চপর্যায়ের সাধারণ বিতর্কে জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস সশরীরে উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে। জাতিসঙ্ঘের ৭৫ বর্ষপূর্তিকে সামনে রেখে তিনি বলেছেন, দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর জাতিসঙ্ঘের সবচেয়ে বড় সফলতা হচ্ছে বড় শক্তিগুলো একে অপরের সাথে সঙ্ঘাতে সরাসরি লিপ্ত হয়নি। পরমাণু যুদ্ধ এড়ানো গেছে। আর বড় ব্যর্থতা হচ্ছে মাঝারি ও ছোট আকারের সঙ্ঘাত বন্ধ করা যায়নি।

অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, এবারের অধিবেশনে ব্যাপক কর্মসূচি থাকবে। সাধারণ অধিবেশন আজ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে। উচ্চপর্যায়ের সাধারণ বিতর্ক ২২ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে। উচ্চপর্যায়ের অধিবেশন চলাকালেই রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা বক্তব্য রাখবেন। তবে জাতিসঙ্ঘের ৭৫তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে নিয়ে ২১ সেপ্টেম্বর উচ্চপর্যায়ের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এর প্রতিপাদ্য রাখা হয়েছে, যে ভবিষ্যৎ আমরা চাই : যে জাতিসঙ্ঘ আমাদের প্রয়োজন।

উচ্চপর্যায়ের বৈঠকশেষে একটি ঘোষণাপত্র দেয়া হবে। সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বেশ কিছু ইভেন্ট থাকবে। এর মধ্যে রয়েছে বায়োডাইভারসিটি সামিট, মহামারীর পর বিশ্ব, জলবায়ু সপ্তাহ, নারী বিশ্ব সম্মেলনের ২৫ বছর পূর্তিসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান।

সার্ক পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক : প্রতি বছর জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে নিউ ইয়র্কে দক্ষিণ এশিয় আঞ্চলিক সহযোগিতা জোটের (সার্ক) পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বৈঠক করে থাকেন। সেই রীতি অনুসরণ করে এবার নিজ নিজ দেশ থেকেই ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশ নেবেন সার্ক পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

স্বাধীন বাংলা/জ উ আহমাদ